দ্য ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইপিএফও জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানো হলে পেনশন সিস্টেমের উপর চাপ কমবে, এবং কর্মচারীদের আরও ভাল রিটায়েরমেন্ট অ্যাডভান্টেজ দেওয়া যেতে পারে ৷ সংগঠনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৪৭ পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ১৪ কোটির বেশি হয়ে যাবে ৷ এর জেরে পেনশন ফান্ডের উপর অনেকটাই বেশি চাপ পড়ে যাবে ৷ ইপিএফও জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি অন্য দেশের নিয়ম পর্যবেক্ষণ করেই বলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: SBI-এর বাম্পার ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ডে ৬ হাজার টাকা রোজগারের সুবর্ণ সুযোগ
মনে করা হচ্ছে অবসরের বয়স বাড়ানো হলে কর্মচারীরা বেশি টাকা জমা করবে এবং বেশি লাভ দেওয়া যাবে ৷ বর্তমানে EPFO এর কাছে ৬ কোটি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং মোট ১২ লক্ষ কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে ৷
লেবর ইকনমিস্ট কেআর শ্যাম সুন্দর জানিয়েছেন, অবসরের বয়স বাড়ানো হলে কর্মীদের পরিবার নিয়মিত আয় করবেন অনেক বেশি দিন পর্যন্ত ৷ এর জেরে রিটায়েরমেন্টের পর বেশ বড় অঙ্কের ফান্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে এর বেশ কিছু লোকসানও রয়েছে ৷ অবসরের বয়স বেশি বাড়ানো হলে আগামী প্রজন্মকে অনেক বেশি অপেক্ষা করতে হবে চাকরির জন্য ৷
আরও পড়ুন: শুধু স্বাস্থ্য বিমা করলেই হবে না! কিছু বিষয় না জানলে কিন্তু বড় সমস্যায় পড়বেন
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানানো ২০৩১ পর্যন্ত দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তির সংখ্যা ১৯.৪ কোটি হয়ে যাবে, যা ২০২১-এ ১৩.৮ কোটি ছিল ৷ এই ভাবে এক দশকের মধ্যে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেড়ে যাবে ৷ ২০১১ সালের জনসংখ্যা অনুযায়ী, ২০২১ পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা ৩.৪ কোটি বৃদ্ধি হয়েছে ৷
দেশে সাধারণত অবসরের বয়স ৫৮ বছর থেকে ৬৫ বছর ৷ ইউরোপিয় দেশে অবসরের বয়স ৬৫ বছর ৷ ইউরোপের ডেনমার্ক, ইতালি ও গ্রিসের অবসরের বয়স ৬৭ বছর, আমেরিকায় ৬৬ বছর ৷