কেন-র খোঁজ: বিনিয়োগ শুরুর আগে কেন কলেজ জীবন থেকে বিনিয়োগ করা উচিত, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। এটা দীর্ঘ মেয়াদে নিজের পরিকল্পনায় অটল থাকতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত অস্থিরতা বা আর্থিক টানাটানির সময়েও কেন-র উত্তরই ভরসা যোগাবে। তাড়াতাড়ি অবসর নেওয়া থেকে মোটা অঙ্কের সম্পদ তৈরি করা পর্যন্ত জীবনের সমস্ত ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে সাহায্য করবে (Tips For college students investment)।
advertisement
আরও পড়ুন-রক্তচাপ সবসময় বেশি থাকে কেন? এই জিনিসগুলো মেনে চলতেই হবে
লক্ষ্য স্থির: কেন-র উত্তর পাওয়া গেলে লক্ষ্য স্থির করাটা সহজ হয়ে যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করতে হবে। দু’দশক পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান সেটা ভেবে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কোনও কলেজ পড়ুয়া দশ বছরের মধ্যে বাড়ি কিনতে চান তাহলে সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে বাজারের মন্দা মোকাবিলা নিয়েও ভাবতে হবে। আবার যদি কেউ ৪০ বছরের মধ্যে অবসর নিতে চান তাহলে তাঁকে আরও বেশি ঝুঁকি নিতে হবে।
কত বেশি টাকা বিনিয়োগ সম্ভব: মাসিক খরচ-খরচা এবং আপৎকালীন টাকা সরিয়ে রেখে বাকিটা বিনিয়োগ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্তত ৬ মাসের খরচের টাকা জমিয়ে তারপর যত বেশি সম্ভব বিনিয়োগের দিকে যাওয়া উচিত। তবে বেশি নগদ না থাকলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগ শুরু করাটাই জরুরি।
আরও পড়ুন-চটপট ওজন কমাতে চান? সকালে খালি পেটে খেতে হবে জিরে-ধনে-মৌরির জল, দেখুন পদ্ধতি
বাস্তবসম্মত কৌশল গ্রহণ: কলেজ পড়ুয়াদের হাতে টাকা কম থাকে। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত কৌশল গ্রহণ জরুরি। কম টাকায় ভাল রিটার্ন মিলবে এমন বিনিয়োগমাধ্যম খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য ইনডেক্স ফান্ড বা ইটিএফে বিনিয়োগ ভালো লাভ দিতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও নিজে মাঠে নেমে ট্রেড করতে পারলে সেটাও যথেষ্ট লাভদায়ক হতে পারে।
জ্ঞান বাড়াতে হবে: বিনিয়োগ সম্পর্কে নিজের জ্ঞান বাড়াতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। কলেজ জীবনে তো বটেই ভবিষ্যতেও এই জ্ঞান কাজে লাগবে। বিনিয়োগের ভাষা, বাজারের প্রবণতা এবং কৌশলগুলোর সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে তুলতে হবে।
নিয়মিত বিনিয়োগ: সম্পদ গড়ে তোলার সেরা উপায় হল বাজারে সময় দেওয়ার পরিবর্তে নিয়মিত বিনিয়োগ করা। অর্থাৎ বিনিয়োগ শৃঙ্খলা জরুরি। মাসে ১০০ টাকা কিংবা ৫০০ টাকা হলেও বিনিয়োগ করতে হবে। ছেদ পড়লে চলবে না। এতে স্বাস্থ্যকর আর্থিক অভ্যাস তৈরি হবে। যা কলেজ জীবনের পরেও কাজে আসবে।
ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট: বিনিয়োগ শুরুর আগে ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। সেখান থেকে সুবিধা মতো বেছে নিলেই হবে।