এ থেকে বাঁচার কোনও উপায় আছে? কিছু মানুষ ঘড়ি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফাস্ট করে রাখেন। যাতে দেরি না হয়। আর্থিক বিষয়ের ক্ষেত্রেও এটা খাটে। এখানে তেমনই কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক লকারের এই নিয়ম, এখনই না জানলে বিপদে পড়বেন!
advertisement
ইনক্রিমেন্ট বিনিয়োগ করতে হবে: বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হাতে এসেছে? মূল্যস্ফীতির কারণে খরচ বাড়বে সন্দেহ নেই। তাই ইনক্রিমেন্টের কিছু টাকা সেখানে খরচ হবে। কিন্তু বাকি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কিছু মানুষের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বেশি থাকলে খরচ করার প্রবণতা থাকে। একটা সময় খরচটাই অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। এই অভ্যাসে লাগাম পরাতে হবে। বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। রাখতে হবে অটো মোডে। যাতে টাকা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ আসার আগেই বিনিয়োগ হয়ে যায়।
আলাদা অ্যাকাউন্ট: অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট চালানো কিছুটা কঠিন কাজ। সবসময় মনেও থাকে না। তবু কখনও কখনও একটা অতিরিক্ত অ্যাকাউন্ট সঞ্চয়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন। সমস্ত বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের জন্য একটি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষে বড় সুখবর! সোনা ও রুপো- দাম পড়ল দুইয়ের ! জেনে নিন আজকের রেট!
সময়ে ইএমআই: দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় ইএমআই অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু ঋণ শোধ হয়ে যাওয়ার পর? এই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। বেঁচে যাওয়া টাকা ভোগ করার প্রবণতা থাকে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয় না। বরং সেই টাকা বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে কাজে দেবে। তাই ঋণ শোধ হয়ে গেলেও ইএমআই দিয়ে যাওয়ার অভ্যাস যেন বজায় থাকে।
বিনিয়োগের মধ্যে নিজেকে বাঁধতে হবে: দীর্ঘমেয়াদে বড়সড় বিনিয়োগের মধ্যে নিজেকে বেঁধে ফেলতে হবে। পরিসংখ্যান বলছে, ইকুইটি ফান্ডে বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই ২ বছরের মধ্যে তুলে নেওয়া হয়। এমনটা করলে হবে না। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ সবসময় লাভজনক। যেমন মিউচুয়াল ফান্ড। গত কয়েক বছরে নজরকাড়া লাভ দিয়েছে। লিকুইডিটির অভাবই এখানে কার্যকর প্রমাণিত হয়।