দুপুরের রোদের তেজে যেন আগুন ঝরছে! তার মধ্যেই পিংলা থানার অন্তর্গত ধর্মপুর, পুরন্দর, মল্লিকচকসহ একাধিক গ্রামে দেখা যাচ্ছে এক সুন্দর, প্রাণবন্ত দৃশ্য। শুধু দেখে উপভোগ নয়, খেয়েও উপভোগ করছেন সকলে। লাভও জুটছে একসময়।
৩০ দিনেই ফলে! বাগানে বা বাড়ির টবেই লাগান এই ‘বীজ’… বেচে লাখ লাখ টাকা কামাবেন ঘরে বসেই!
advertisement
রাস্তায় বসে তাল কাটছেন বিক্রেতারা। তালশাঁস বিক্রির এই চিত্র এখন গ্রীষ্মের নিয়মিত উপাখ্যান। তবে নেপথ্যে রয়েছে স্বনির্ভরের গল্প। সাধারণত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাস্তার ধারে চলে এই বিক্রি। পথচলতি মানুষ, দিনমজুর, সাইকেল আরোহী, এমনকি বাইকের যাত্রীরাও দাঁড়িয়ে পড়ছেন তালশাঁসের ঠান্ডা স্বাদের টানে। পাঁচ থেকে দশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নরম, রসালো তালশাঁস।তবে জানেন জঙ্গলমহলের বেশ কিছু মানুষের উপার্জনের এক মাধ্যম এটি। কারণ জঙ্গলমহলের বেশ কিছুজন বছরে এই সময়ে ভাড়া নেয় তাল গাছ। সেখান থেকে তাল সংগ্রহ করে এনে বাজারে বিক্রি করে বিক্রেতারা। বেশ কয়েকজনের রুটিরুজির মাধ্যম এটি।
ভোরবেলায় পাশের গ্রামের তালগাছ থেকে তুলে এনে গ্রামের বাজারে বিক্রি করেন তারা। বাজারে ৫/১০ টাকায় বিক্রি করেন। ফলত, এই মরশুমে শুধু বিক্রি বাড়ে। সকালে সংগ্রহ করে এনে, সারাদিন বিক্রি করেন বিক্রেতারা।গ্রামীণ এলাকায় চাহিদা রয়েছে বেশ। তবে এই সময়ে গাছেরও কদর বাড়ে। গাছ বিক্রি হয় কয়েক হাজার টাকায়। বছরের এই সময়ে লিজ নেন কয়েকজন।
স্বাভাবিকভাবে, অন্যান্য পেশার পাশাপাশি এই সময়ে তাল বিক্রি করে জঙ্গলমহলের বেশ কিছু মানুষ রোজগার করেন। স্বনির্ভরতার এক অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠে এই পেশা।
রঞ্জন চন্দ