মনোজ বলেন যে তিনি দেখেছেন তাঁদের গ্রাম থেকে অল্প দূরের গ্রাম পাটৌরায় ফুল চাষ হয়। ওই গ্রামের কৃষকেরা ফুল চাষ করেন অনেকদিন ধরেই। বাজারে সেই সব ফুলের ব্যাপক চাহিদা ছিল। মনোজ বলেন, ‘মন্ডিতে গেলেই দেখতাম বাইরে থেকেও প্রচুর পরিমাণে ফুল আসে। দামি দামি ফুল।’ ওই এলাকায় ফুলের বিক্রি যথেষ্ট বেশি। এতে ভাল আয় হয়। এরপর মনোজও ফুল চাষের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী দিনে কি সোনার দাম কমবে? অনেকগুলি বিষয়ের ইঙ্গিত দিলেন বিশেষজ্ঞরা!
তিনি জানান, গাঁদা ফুলের চাষ একেবারেই প্রথাগত চাষের মতো। আগে লাঙল দিয়ে মাঠ তৈরি করে নিতে হয়। এরপর কলকাতা থেকে আনিয়ে চারা রোপণ করেন তাঁরা।
৬০ দিনে ফলন:
গাছ লাগানোর ৫০ দিন পর গাছে মাটি দেওয়া হয়। সপ্তম দিন থেকে গাছে ফুল ধরতে শুরু হয়। তারপর প্রতি চতুর্থ দিন ফুল ছিঁড়ে নেওয়া যেতে পারে। তাই প্রতি কাঠায় আয় হতে পারে ১০ হাজার টাকা। মনোজ জানান, তিনি দুই একর জমিতে গাঁদা চাষ করেছেন। আগাছা নিড়ানো থেকে শুরু করে মাটি দেওয়া, জল দেওয়া, ফুল তৈরি করা পর্যন্ত কাজে নিযুক্ত রয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ফলে শুধু একক আয় নয়। গাঁদা চাষে সরাসরি যুক্ত হয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে প্রায় ২০টি পরিবার।
রোগ প্রতিরোধ—
গাঁদা ফুলে এক ধরনের কালো ছোপ পড়ে যায়। এই রোগ থেকে গাছ বাঁচাতে আগেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এই জন্য ফুলের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। অস্বাস্থ্যকর ফুল ছিঁড়ে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে কালো দাগ রোধ করতে স্প্রে করতে হবে।