উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, একজন ঋণগ্রহীতা ১৫ বছরের সময়কালে ৫,০০,০০০ টাকার লোন নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা সংস্থার কাছে তাঁর লোনে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। এ বার কম সুদে সেই লোন রি-ফিনান্স করা হল। এ ক্ষেত্রে সুদের হার হল ৬.৯০ শতাংশ। প্রায় ৫০ bps জন্য কমল সুদল হার। অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা সব মিলিয়ে ২.৫ লক্ষ টাকারও বেশি বাঁচাতে পারেন। তবে এই রি-ফিনান্সের ক্ষেত্রে কিন্তু স্ট্যাম্প ডিউটি, প্রসেসিং ফি-সহ অন্যান্য একাধিক চার্জ লাগে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটু সময়ও লাগে। যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ও লোন সংক্রান্ত বিষয়গুলি ভালো করে খতিয়ে দেখে লোন সুইচিং করা হয়, তা হলে ঋণগ্রহীতাদের কাছে লাভজনক হতে পারে এটি। তবে মাথায় রাখতে হবে, এই রি-ফিনান্স বা লোন সুইচিংয়ের বিষয়টি তাঁদের ক্ষেত্রেই লাভজনক, যাঁদের লোনের সময়কাল বেশি।
advertisement
এ ক্ষেত্রে লোন রি-ফিনান্সের জন্য প্রথমে নতুন ঋণদাতা সংস্থার কাছে আবেদন জানাতে হয় ঋণগ্রহীতাদের। এর পর পুরনো ব্যাঙ্কের অনুমতি পত্র, লোন অ্যামাউন্ট-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় নথি-পত্র জমা দিতে হয়। এ বার নতুন ঋণদাতা সংস্থায় আবেদন প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়। একটি স্যাংশন লেটার বা অনুমোদন পত্র ইস্যু করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি হতে প্রায় ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
এ বার লোন অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট-সহ সমস্ত তথ্য নতুন ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়ার পালা। এই পর্যায়ে আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিয়ে নেয় ব্যাঙ্ক ও ফিনান্স কোম্পানিগুলি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ফাঁকে পুরনো ব্যাঙ্ক থেকে ফোরক্লোজার লেটারের জন্য আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এ বার নতুন ঋণদাতা সংস্থা সম্পত্তি সম্পর্কে যাবতীয় নথি-পত্রের জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারেন ঋণগ্রহীতাকে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে পুরনো ঋণদাতার নামে একটি চেক ইস্যু করেন নতুন ঋণদাতা সংস্থা।
