নতুন বছর মানেই নতুন শুরু, নতুন করে ভাবনা চিন্তা করা। আর এ ক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি হল আর্থিক বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া। আগামী ২০২৩ সালের জন্য সুন্দর ভাবে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলা ভাল। যাতে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য খুব দেরি না করাই ভাল।
আরও পড়ুন: বদলাতে চলেছে হোম লোনের নিয়ম; এক নজরে দেখে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি!
advertisement
কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে নতুন বছরে, সে বিষয়ে একটি নকশা তৈরি করে ফেলা যাক—
১. আপদকালীন সঞ্চয় বৃদ্ধি
সারা বিশ্বের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে খানিকটা ভয় পাওয়া প্রয়োজন বৈকি! ২০২৩ সাল যে খুব নিশ্চিন্ত ভাবে কাটতে চলেছে এমনটা বলার মতো জায়গায় আমরা প্রায় কেউই নেই। সারা বিশ্বের অনেক আর্থিক বিশেষজ্ঞই সতর্ক করছেন, আগামী বছর মন্দা আঘাত হানতে পারে সারা বিশ্বে। সে কথা মাথায় রেখে আপদকালীন তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হলে সেটি কাজে লাগবে। কোনও নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত রোজগার বন্ধ থাকলেও যাতে সেভিংস অ্যাকাউন্টে এত পরিমাণ অর্থ থাকে যা কিছুদিন কাজে লাগানো যাবে, তেমন সংস্থান রাখাই ভাল।
সাধারণত ন্যূনতম তিন মাসের প্রয়োজনীয় অর্থ সঞ্চয় করা উচিত। তবে কোনও কোনও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ৮ মাস থেকে এক বছরের প্রয়োজনীয় অর্থ এই আপদকালীন জমা করার কথা বলে থাকেন।
আরও পড়ুন: কর্মীদের জন্য বিশাল খবর আসছে নতুন বছরে, পেনশন ও বেতনে বাম্পার বৃদ্ধি!
২. ঋণ পরিশোধ—
ঋণ মাথার উপর ঝুলে থাকা কোনও মানুষের কাছেই কাঙ্ক্ষিত নয়। তার উপর যে ভাবে রেপো রেট বেড়েছে চলতি বছরে তাতে সাধারণ মানুষের মাথার সুদের বোঝা বড় ভারী হয়ে পড়েছে। ফলে সাধ্যে কুলোলে আগামী বছর ব্যয়বহুল ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার চেষ্টা করাই ভাল।
আর সে জন্য প্রয়োজন হলে নিজের বাজেটের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে জীবনযাত্রার মানে কিছু অদল বদল করে কিছু খরচ কমানোর উপায় খুঁজে বের করা যেতে পারে। যাতে বেশ কিছু টাকা হাতে রাখা যায়।
৩. বাড়তি খরচে নজর—
এ সময় অপ্রয়োজনীয় বাড়তি খরচে সামান্য হ্রাস টানা প্রয়োজন। যে জিনিস খুব দরকার নেই, তাতে অর্থ বিনিয়োগের সময় নয় ২০২৩। বরং সেই টাকা অন্যত্র কাজে লাগানো প্রয়োজন। না হলে নিতান্ত সঞ্চয় করা যেতে পারে।
৪. অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—
পরিস্থিতি প্রতিদিনই বদলায়। এমনটা হতেই পারে, ২০২২ সালে কোনও সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া গিয়েছে বা স্টক বিক্রি করেছেন কোনও ব্যক্তি। অথবা, এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা তাঁর আয়করকে প্রভাবিত করতে পারে। সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকলে পরে বিপদে পড়তে হতে পারে।
এ কারণে একজন পেশাদারের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। ২০২৩ সালে আয়কর জমা দেওয়ার সময় নিজের করের বোঝা কমাতে সাহায্য করতে পারেন তিনি।