TRENDING:

Car Loans: গাড়ির লোন নিচ্ছেন ? দেখে নিন কী কী করবেন আর কী কী এড়িয়ে চলবেন ....

Last Updated:

Car Loans: কার লোনের আবেদনের সময় কী কী করা উচিত?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একটা করে গাড়ি থাকেই। আসলে গাড়ি এখন প্রয়োজনীয়তা হিসেবেই গণ্য হয়। এ বার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গাড়ি কেনার জন্য প্রথমে একটা ডাউন পেমেন্ট করতে হয়। তার পর কার লোনের মাধ্যমে গাড়ির টাকা দেওয়া যায়। আজকাল প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট এবং পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক কার লোন বা গাড়ি ঋণের সুুবিধা প্রদান করে। আর এই ধরনের লোনের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা সব ব্যাঙ্কে এক রকম হয় না। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কার লোনের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন হয়। এ বার গাড়ি কেনার জন্য গ্রাহক নিজের সুযোগ সুবিধামতো ঋণদাতা ব্যাঙ্ক বেছে নিতে পারেন।
advertisement

আরও পড়ুন: কারা এডুকেশন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন ?

গাড়ির লোনের ইএমআই (EMI) কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে:

  • ঋণের পরিমাণ
  • ঋণের উপর কতটা সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে
  • লোনের মেয়াদ কাল
  • প্রসেসিং ফি 
  • advertisement

কার লোনের আবেদনের সময় কী কী করা উচিত?

তুলনা: 

প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই একাধিক গাড়ি ঋণ বা কার লোনের প্যাকেজ থাকে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণের সুদের হার এবং অন্যান্য অতিরিক্ত খরচ তুলনা করে দেখতে হবে।

সুদের হার:

এমন একটি লোনের প্যাকেজ বেছে নিতে হবে, যেখানে সব চেয়ে কম সুদের হারে গ্রাহকের প্রয়োজন মতো ঋণ পাওয়া যাবে।

advertisement

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিট করার আগে এই বিষয়গুলি অবশ্যই জেনে নিন...

প্রক্রিয়ার সরলীকরণ:

ঋণের জন্য আবেদন করার আগেই গাড়ির মডেল পছন্দ করে রাখা উচিত। যাতে ঠিক কত টাকা লোন দরকার, তা নির্ধারণ করা যাবে। এর ফলে কার লোন প্যাকেজ বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। 

advertisement

অতিরিক্ত চার্জ:

অনেক সময় দেখা যায় যে, সব দিক বুঝেশুনেই হয়তো কেউ একটা লোন প্যাকেজ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যে এমন কিছু গোপন বিষয় আছে, যা গ্রাহকের জন্য একেবারেই লাভজনক নয়। তাই কার লোন নেওয়ার সময় আগে থেকেই অতিরিক্ত চার্জ অথবা কোনও গোপন ফি আছে কি না, সেটা ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে।

advertisement

স্পেশাল অফার:

কার লোনের ক্ষেত্রে কোনও স্পেশাল অফার চলছে কি না, সেই বিষয়ে আবেদন করার সময় খোঁজ নিতে হবে। আর অফার থাকলে তার সঙ্গে কী কী শর্তাবলী প্রযোজ্য, সেই বিষয়েও ঋণদাতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

 

বিমা:

গাড়ির বিমা প্রিমিয়ামের খরচ দেখে নিতে হবে, কারণ এটা একটা রেকারিং মূল্য। আর সেটিকেও লোনের মধ্যে যুক্ত করতে চাওয়া হচ্ছে কিনা, সেটা বিচার করতে হবে।

কার লোনের আবেদনের সময় কী কী করা উচিত নয়?

যোগ্যতা:

নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করা উচিত নয়। অর্থাৎ লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা বুঝেই ঋণের জন্য আবেদন জানাতে হবে। না হলে গ্রাহকের ঋণের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হবে।  

আরও পড়ুন: বিমা থেকে লোন, জুন থেকে বদলাতে চলেছে এই ৫টি বড় নিয়ম

একাধিক আবেদন:

একটা কার লোনের জন্য বেশ কয়েকটা ব্যাঙ্কে একাধিক বার আবেদন করা উচিত নয়। কারণ এতে গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোরের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। 

প্রত্যাখ্যান:

ধরা যাক, এক গ্রাহক কোনও একটি ব্যাঙ্কে কার লোনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন নাকচ করে দেওয়া হল। এর পর ওই গ্রাহক অন্য ব্যাঙ্কগুলিতেও ওই লোনের জন্য আবেদন করলেন। এটা করা একেবারেই উচিত নয়, কারণ এতে অন্য ব্যাঙ্কেও আবেদন অনুমোদনের সম্ভাবনা অনেক কমে যায় এবং ফের প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।

অন্যান্য সম্ভাবনা:

কার লোনের জন্য গ্রাহক হয়তো একটা ঋণদাতা সংস্থার দ্বারস্থ হলেন। এ বার সেই সংস্থার অফারের ভিত্তিতেই ঋণের আবেদন করলে চলবে না। কারণ সেটাই যে সেরা অফার হবে, তার কোনও মানে নেই। তাই অন্যান্য ব্যাঙ্কের অফার এবং প্যাকেজগুলি খতিয়ে দেখে তবেই কার লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। 

বুঝে গাড়ি বাছাই: 

বুঝে-শুনে তবেই গাড়ির মডেল বেছে নিতে হবে। ধরা যাক, গ্রাহক এমন একটা গাড়ি বাছলেন, যেটার সার্ভিসিংয়ের পিছনে অনেকটাই খরচ হয়ে যেতে পারে। এটা করলে চলবে না। কারণ মাথায় রাখতে হবে যে, লোন পরিশোধ করার জন্য ইএমআই চলছে এবং বিমার প্রিমিয়ামও শোধ করতে হচ্ছে।

যে সব গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর ভালো নয়, তাঁদের জন্য কি দীর্ঘমেয়াদী কার লোন ভালো অপশন?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ, তাঁদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ-ই ভালো। যদিও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয়। আর গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে সুদের হার সাধারণত বেশি হয় আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে তো এমনিতেই সুদের হার বেশি। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটিও একটা বড় ঝুঁকি। ঋণের পরিমাণের থেকে যখন গাড়ির মূল্য কম হয়, তখন সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়টি লাগু হয়। ঋণের মেয়াদ চলাকালীন গাড়ি মেরামতির প্রয়োজন হতে পারে। ফলে সে ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ে, যা গ্রাহকের জন্য একেবারেই লাভজনক নয়।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Car Loans: গাড়ির লোন নিচ্ছেন ? দেখে নিন কী কী করবেন আর কী কী এড়িয়ে চলবেন ....
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল