১) বাড়ি ভাড়ার ভাতা –
অনেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের বাড়ি ভাড়ার ভাতা দেয়। এটি মূল বেতনের ৪০-৫০ শতাংশ কভার করে। কেউ যদি কোম্পানির কাছ থেকে বাড়ি ভাড়ার ভাতা না পায়, তাহলে অবিলম্বে HR-এর সঙ্গে কথা বলা উচিত এবং ট্যাক্স বাঁচাতে নিজেদের বেতনের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
২) ভ্রমণ বা যানবাহন ভাতা –
advertisement
পরিবহন ভাতা বা ভ্রমণ ভাতা নিজেদের অফিস এবং বাড়ির মধ্যে যাতায়াতের খরচ কভার করে। বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের বেতনের এই ভাতা দিলেও কিছু কোম্পানি তা দেয় না। যদি এই অংশটি নিজেদের বেতনে অন্তর্ভুক্ত না হয়, তবে এটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে সেই অর্থের উপর ট্যাক্স দিতে না হয় এবং উপকৃত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শুধুই SIP নয়, মিউচুয়াল ফান্ডে ফিক্সড ম্যাচিউরিটি প্ল্যানও অত্যন্ত লাভজনক, দেখে নিন এক নজরে
৩) ফুড কুপন বা বিনোদন ভাতা –
ফুড কুপন, ফুড ভাউচার বা সোডেক্সো কুপনও নিজেদের ট্যাক্স বাঁচায়। কিছু কোম্পানিতে এটিকে বিনোদন ভাতাও বলা হয়। অনেক কোম্পানি প্রতি মাসে প্রায় ২০০০-৩০০০ টাকা বিনোদন ভাতা দেয়। কর্মীদের শুধু কোম্পানিকে খাবারের বিল দেখাতে হবে এবং কোনও ট্যাক্স না কেটেই সেই টাকা ফেরত পাওয়া যেতে পারে।
৪) গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা –
অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের কর্মীদের গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা দেয়। এই ভাতার আওতায় কর্মচারীকে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, ডিজেল বা পেট্রল খরচ, এমনকি চালকের বেতনও দেওয়া হয়। কারও যদি গাড়ির খরচ বেশি হয়, তাহলে কোম্পানির HR-এর সঙ্গে এটি সম্পর্কে কথা বলা উচিত। কেউ যদি গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা পায়, তাহলে তার উপর কর দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: মাত্র ৭ বছরে ৪ গুণের বেশি রিটার্ন! এই ৫ মিউচুয়াল ফান্ডের SIP থেকে মালামাল হয়ে গিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা
৫) ছুটি ও ভ্রমণ ভাতা –
এটি একটি ভাতা, যা অনেক কোম্পানিই তাদের কর্মীদের দেয়। এর অধীনে, কর্মীদের কোথাও যেতে ভাতা দেওয়া হয়। কেউ ৪ বছরে দুবার একটি দীর্ঘ সফরে যেতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ছুটি ও ভ্রমণ ভাতার অধীনে সেই খরচ পরিশোধ করতে পারে। তাই কেউ যদি ভ্রমণ করতে চায় এবং LTA নিজেদের বেতনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাহলে তা অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত- এতে ট্যাক্স বাঁচানো যেতে পারে।
৬) মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ভাতা –
এই ভাতার অধীনে, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট বিলের টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, এতে যা খরচ হোক, কোম্পানি তা কোনও ট্যাক্স না কেটে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত দিতে পারে। এটি করযোগ্য আয় হ্রাস করে এবং চাকরিজীবীকে উপকৃত করে।
৭) ইউনিফর্ম ভাতা –
খুব কম কোম্পানি আছে, যারা তাদের কর্মীদের এই ভাতা দেয়। এই বিষয়ে কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে এবং যদি সেখানে ইউনিফর্ম ভাতা পাওয়া যায়, তাহলে তা বেতনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই টাকা কোম্পানি কর্মীদের ইউনিফর্মের খরচ বজায় রাখার জন্য দেয়, যার উপর কোনও ট্যাক্স ধার্য করা হয় না।
8) চিকিৎসা ভাতা –
কিছু কোম্পানি তাদের কর্মীদের চিকিৎসা ভাতাও দেয়। এর অধীনে কর্মচারী নিজের বা তার পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ করতে পারে। যদি এই ভাতা কারও বেতনের অন্তর্ভুক্ত না হয়, তবে তা যোগ করতে হবে। এই ভাতা সকলের জন্য খুবই উপযোগী, কারণ এতে ট্যাক্স বাঁচবে এবং পরিবারের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
৯) শিক্ষা/হোস্টেল ভাতা –
নিজেদের সন্তান থাকলে তার বয়স ও যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষা বা হোস্টেল ভাতা পাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে এইচআরের সঙ্গে কথা বলা উচিত এবং তারা বলবে কীভাবে এই ভাতার সুবিধাগুলি পেতে হয়।
১০) সংবাদপত্র/পত্রিকা/বই ভাতা –
এমন অনেক কাজ আছে, যার জন্য সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা বই পড়া প্রয়োজন। মিডিয়াও তার মধ্যে অন্যতম। এই ধরনের কাজে কোম্পানি তাদের কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ভাতা প্রদান করে। কেউ যদি এরকম কাজের কোম্পানিতে থাকে, তাহলে এটিকে নিজেদের বেতনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং ট্যাক্স বাঁচানো যেতে পারে।