সাইরাস অপসারণের পর টাটা গোষ্ঠীর সঙ্কট যেন কাটছেই না। টাটা- এয়ার এশিয়া চুক্তিতে অনিয়ম নিয়ে তদন্তের পথে হাঁটতে পারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এই চুক্তিতে ২২ কোটি টাকা বেআইনিভাবে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সাইরাসের ই-মেলে এই লেনদেনের বিষয় উল্লেখ থাকাতেই নড়েচড়ে বসেছে টাটা গোষ্ঠী।
বিকেলে টাটাদের তরফে বিবৃতিতে কার্যত তুলোধনা করা হয় সাইরাসকে। বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের সব অভিযোগ খারিজ করে সাইরাসকে পালটা আক্রমণ টাটাদের।
advertisement
-সাইরাস সংস্থার গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে বিশ্বাসভঙ্গ
-কর্পোরেট নীতির তোয়াক্কা না করে বোর্ডের চিঠি ফাঁস
- চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল
- সংস্থাকে সঠিক পথ দেখাতে তিনি ব্যর্থ
- নীতি ও দায়বদ্ধতার বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন সাইরাস
- টাটাদের আদর্শ ও ব্যবসায়ীক আদর্শ বুঝতে ব্যর্থ
নাম না করে রতন টাটার ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাইরাস। ভুল সিদ্ধান্তের জেরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগও তুলেছিলেন। পালটা বিবৃতিতে তা খারিজ করলেও লাভ-ক্ষতির অঙ্ক নিয়ে মুখ খোলেনি টাটা গোষ্ঠী।
টাটাদের অন্দরে এই টানাপোড়েনের জেরে গত ৩ দিন ধরে সংস্থার শেয়ারের দামেও ধস। বৃহস্পতিবারও টাটা পাওয়ার, টাটা কেমিক্যালস, টাটা স্টিল সহ ৫টি সংস্থার দাম গড়ে ৩ শতাংশ পড়েছে। এই পরিস্থিতি নতুন চেয়ারম্যান খুঁজতে শুক্রবার বৈঠকে বসছে সার্চ কমিটি।