একের পর এক ট্যুইটে মালিয়া লিখেছেন, 'কিংফিশারকে বাঁচাতে আমি ৪ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছিলাম৷ কোম্পানি ও কর্মীদের বাঁচাতেই ওই টাকা দিয়েছিলাম৷ কোনও কারণ ছাড়াই আমার নিন্দা করা হয়েছিল৷ সেই একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সবচেয়ে ভালো এয়ারলাইনকে বাঁচাতে টাকা দিচ্ছে৷ এনডিএ সরকারের দ্বিচারিতা৷' যে বিজেপি কিংফিশারকে বাঁচাতে মনমোহন সিং প্রশাসনের উদ্যোগের তুমুল সমালোচনা করেছিল, সেই বিজেপি-ই আজ একই কাজ করছে নরেশ গয়ালের জেট এয়ারওয়েজ-কে বাঁচাতে৷
advertisement
এরপরই মালিয়ার ট্যুইট, 'আমার টাকা নিয়ে জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচান৷ কেন ব্যাঙ্কগুলি আমার টাকা নিচ্ছে না?' মালিয়া এর আগে ট্যুইটারে বলেছিলেন, কিংফিশার কর্মীদের বকেয়া বেতন তিনি দিতে চান৷ এপ্রিল মাস পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেট এয়ারওয়েজের ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটের পরিষেবা ৷ দেশের মধ্যেও অন্তত ৭টি রুটে বিমানের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে জেট ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দিল্লি ও মুম্বইয়ের পরিষেবা ৷ ফলে বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ ৷
এই আর্থিক সংকটের আগে প্রতিদিন জেট এয়ারওয়েজের ৬০০টি বিমান বিভিন্ন রুটে চলত। বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১১৯টিতে। বর্তমানে দিল্লি থেকে আবু ধাবি, দামাম, ঢাকা, হংকং এবং রিয়াদে কোনও বিমান যাওয়া আসা করছে না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এমন অবস্থাই চলবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। মোট ১১৯টি বিমানের মধ্যে ৪১টি এই মুহূর্তে দেশে চলছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ডিজিসিএ।