সাগর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে, তেহরা তেহরি গ্রামের শোভারাম প্যাটেল ৬৫ বছর বয়সে কৃষিকাজে নতুনত্ব এনে অশ্বগন্ধা চাষ শুরু করেন। তিনি ঝুঁকি নিয়ে প্রথম বছরেই মাত্র ৬ কেজি বীজ দিয়ে ৭০ ডেসিমেল জমিতে ফসল বপন করেন, লাভ হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা।
বাবার অনুপ্রেরণা, মেলা থেকে ধারণা পেয়েছিলেন
শোভারামের বাবা ডাক্তার ছিলেন এবং ভেষজ উদ্ভিদ খুঁজে বার করে আনতেন। শোভারামও অনেকবার ঔষধি গাছের সন্ধানে যেতেন বাবার সঙ্গে। ভোপালের আন্তর্জাতিক বন মেলায় গিয়ে তিনি ভেবেছিলেন, ভেষজ উদ্ভিদ চাষ শুরু করলে কেমন হয়! সেখান থেকেই অশ্বগন্ধা চাষের ধারণা তাঁর মাথায় আসে।
advertisement
জমিতে উৎপাদিত ঔষধি সম্পদ
অশ্বগন্ধা ছাড়াও শোভারাম প্যাটেলের খামারে আরও অনেক ঔষধি গাছ জন্মায়। তিনি বলেন, অশ্বগন্ধার মূল সবচেয়ে মূল্যবান, যা গুঁড়ো করা হয় এবং এটি অনেক রোগ নিরাময়ে কার্যকর।
চাষের পদ্ধতি
শোভারাম কৃষকদের অশ্বগন্ধা চাষের জন্য এমন জমি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন, যেখানে কমপক্ষে দুই বছর ধরে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। প্রথমে জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে, মাটি নরম করতে হবে মাখনের মতো, তাতে গোবর সার দিতে হবে। মাটি যত ভাল হবে, শিকড় তত ভাল এবং ঘন হবে।
ভেষজ কারখানার সঙ্গে সরাসরি চুক্তি
এই মূল বাজারে বিক্রিও কোনও সমস্যার নয়। শোভারাম বলেন, ” আজকাল ভেষজ কারখানাগুলি সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। যদি কোনও কৃষক মাণ্ডিতে যেতে না চান, তাহলে তিনি সরাসরি কারখানায় তাঁর ফসল বিক্রি করতে পারেন।”
শোভারাম প্যাটেল তাঁর জীবনের এই পর্যায়ে প্রমাণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিতে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।