আরও পড়ুন: ঘরে বসেই জ্যাকপট জেতার সুযোগ ! জেনে নিন লটারির রেজাল্ট
ভারত চা প্রেমিকদের দেশ। অফিসে কাজের ফাঁকে, বিকেলের আড্ডায় বা যাওয়া-আসার পথে বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন বা কোনও চায়ের দোকানে গলা ভেজায় না এমন মানুষ দুর্লভ। ইদানীং পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। প্লাস্টিকের কাপের বদলে মাটির ভাঁড়েই চা খেতে পছন্দ করছেন আমজনতা। সরকারি তরফেও অনেক জায়গায় মাটির ভাঁড় ব্যবহারে বেশি উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু সাধারণ চায়ের দোকান নয় এখন বড় বড় ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁতেও কারুকার্য খচিত মাটির ভাঁড় ব্যবহার হচ্ছে। ফলে চা-সহ বিভিন্ন কাজে মাটির ভাঁড়ের ভালো রকম চাহিদা রয়েছে। তাই এই ব্যবসা যে লাভজনক তা বলাইবাহুল্য।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ রেলের কর্মীদের জন্য সুখবর! এই দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন ডিএ
আরও একটা ব্যাপার উল্লেখ করতেই হয়, সেটা হল মাটির ভাঁড়ের ব্যবসায় নামলে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যও পাওয়া যাবে। ইদানীং পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহারে জোর দিচ্ছে সরকার। তাই মাটির ভাঁড় তৈরির ব্যবসার জন্য ‘কুমোর ক্ষমতায়ণ প্রকল্প’ চালু করেছে মোদি সরকার। এই প্রকল্পের অধীনে বৈদ্যুতিক চাক দেয় কেন্দ্র। যার সাহায্যে কম সময়ে অনেক বেশি মাটির ভাঁড় উৎপাদন করা যায়। পরে সরকার সেই ভাঁড়গুলি ভাল দামে কিনে নেয়।
আরও পড়ুন: নামমাত্র বিনিয়োগে ১০ বছরে হবে ৫০ লাখ টাকা, দেখে নিন কীভাবে!
সাধারণভাবে ১০০ চায়ের ভাঁড়ের পাইকারি দাম ৫০ টাকা। একই ভাবে লস্যির মাটির ভাঁড়ের ১০০টির দাম ১৫০ টাকা। বিয়েবাড়ি এবং উৎসবের সময়ের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, কারুকার্যখচিত ভাঁড় তৈরি করতে পারলে তার দাম আরও বেশি। মাত্র ৫ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায়। এর জন্য শুধুমাত্র সামান্য জায়গা প্রয়োজন। সাধারণত মাটির ভাঁড়ে চায়ের দাম অন্তত ১২-১৫ টাকার মধ্যে। কোথাও কোথাও এই দামেরও বেশি হয়। প্লাস্টিকের কাপে চায়ের তুলনায় ভাঁড়ের চা একটু বেশি ব্যয়বহুল। তবে শুধু চা-ই নয়। লস্যি থেকে শুরু করে দই, মিষ্টি- অনেক কিছু মাটির ভাঁড়ে দেওয়া হয়। ফলে এই ব্যবসায় দৈনিক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যে কেউ মাসে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন।