জিনিসপত্র বাঁধাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় মোটা কভার বা আচ্ছাদন। সেটাই হল কার্ডবোর্ড। শুধু তা-ই নয়, বইয়ের উপরের পুরু কভারও তৈরি হয় কার্ডবোর্ড থেকেই। ফলে কার্ডবোর্ডের বাক্সের চাহিদা দিন দিন আরও বেড়েই চলেছে। বাড়িতে কিংবা বড় কোনও অফিসে কিংবা ব্যবসার ক্ষেত্রে জিনিসপত্র প্যাক করার জন্য এই কার্ডবোর্ডের প্রয়োজন পড়ে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কার্ডবোর্ডের বাক্স বানানোর ব্যবসা কতটা মুনাফা দিতে পারে। তাই জেনে নেওয়া যাক এই ব্যবসার সাতসতেরো।
advertisement
আরও পড়ুন: বেতন এলেই জলের মতো খরচ! টাকা বাঁচানোর ৮ সহজ উপায় দেখে নিন
এই ব্যবসা করতে কত টাকা পুঁজির প্রয়োজন?
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আমাদের প্রথমে মোটা টাকা লাগাতে হবে। তার পর সেমি অটোমেটিক মেশিন দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। তবে নিশ্চিত থাকুন, ব্যবসা শুরু করার জন্য আমাদের কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হতে পারে। একই সময়ে আমরা যদি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে এই ব্যবসা শুরু করতে চাই, তবে আমাদের ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
কী কী প্রয়োজন?
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে। কাঁচামাল তার মধ্যে অন্যতম। এই ব্যবসার মূল কাঁচামালের হল ক্রাফ্ট পেপার। এর বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা। আমরা যত ভালো মানের ক্রাফ্ট পেপার ব্যবহার করব, তত ভালো মানের বাক্স তৈরি হবে। তা-ছাড়া এই ব্যবসা শুরু করতে আমাদের কাছে প্রায় ৫০০০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। এর জন্য প্রথমে একটি প্লান্ট বা কারখানা স্থাপন করতে হবে। এর পাশাপাশি মাল রাখার জন্য একটি গুদামেরও প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকি বিহীন পথে সম্পত্তি বাড়াতে চান! রইল ৫টি লো রিস্ক বিনিয়োগ বিকল্পের সন্ধান
কেমন লাভ হবে?
কার্ডবোর্ডের বাক্স তৈরির ব্যবসার মাধ্যমে আমরা অনায়াসেই প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারি। এই ব্যবসার মাধ্যমে আমরা গ্রাম হোক কিংবা শহরের যে কোনও জায়গায় বসেই দুর্দান্ত ভাবে উপার্জন করতে পারি। তবে হ্যাঁ! মনে রাখতে হবে যে, যত ভালো মানের বাক্স তৈরি করা যাবে, আয়ও ধীরে ধীরে ততই বাড়তে থাকবে।