যতদূর জানা যাচ্ছে, ২০২৩-এর ১৪ মার্চ শেষ এবং চতুর্থ ধাপের সভেরিন গোল্ড বন্ড জারি করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কেন্দ্রীয় সরকারের গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিমের অধীনে সভেরিন গোল্ড বন্ড প্রথম চালু হয়েছিল ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে। স্কিমের অধীনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গোল্ড বন্ড ইস্যু করে।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে হোক বিনিয়োগের শ্রীগণেশ, ট্যাক্সেও পাবেন বড় সুবিধা! তাহলে আর দেরি কীসের?
advertisement
ইস্যু মূল্যও নির্ধারণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবার কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনার পর ইস্যু মূল্য রাখা হয়েছে ৫,৪০৯ টাকা। স্কিমের লক ইন পিরিয়ড ৮ বছর। তবে পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম বর্ষে অকাল প্রত্যাহারের সুবিধা রয়েছে। সুদের হার আগের মতোই, ২.৫ শতাংশ।
কীভাবে সভেরিন গোল্ড বন্ড কিনবেন, ডিসকাউন্ট পাবেন: সভেরিন গোল্ড বন্ড বা এসবিজি কিনতে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে, তৃতীয় ধাপের জন্য ইস্যু মূল্য ৫,৪০৯ টাকা।
কিন্তু অনলাইনে আবেদন করলে ছাড় মিলবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে বন্ড কিনবেন এবং ইউপিআই বা অন্য কোনও ডিজিটাল মোডের মাধ্যমে টাকা মেটাবেন, তাঁরা প্রতি গ্রাম সোনায় ৫০ টাকা ছাড় পাবেন। তাই অনলাইনে আবেদন করলে একটি গোল্ড বন্ডের ইস্যু মূল্য হবে ৫,৩৫৯ টাকা প্রতি গ্রাম সোনায়।
গোল্ড বন্ড অনুমোদিত পোস্ট অফিস এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কিংবা অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকেও কেনা যাবে।
স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড, ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড, মনোনীত পোস্ট অফিস এবং স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জ, যথা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড থেকেও সার্বভৌম গোল্ড বন্ড কেনা যেতে পারে। ব্রোকার এবং অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিও গোল্ড বন্ড ক্রয় করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ২০২২-এ সবচেয়ে বেশি গুগল সার্চ ‘কীভাবে অনলাইনে আইটিআর ফাইল করবেন’, জানুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া!
অনলাইনে গোল্ড বন্ড কেনার পদ্ধতি: যে সব বিনিয়োগকারীরা নেট ব্যাঙ্কিংয়ে অভ্যস্ত তাঁদের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেট ব্যাঙ্কিংয়ে লগ ইন করে মেনুতে গিয়ে ই সার্ভিস-এ ক্লিক করতে হবে। সেখানেই একাধিক অপশনের সঙ্গে থাকবে সভেরিন গোল্ড বন্ডও।
টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন দেখে নিয়ে পারচেজ-এ ক্লিক করতে হবে। এবার প্রসিডে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ এবং বিবরণ দিয়ে সাবমিট-এ ক্লিক করতে হবে। এবার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর এবং ই-মেলে ওটিপি আসবে। এবার সেটা দিয়ে ক্লিক করলে নতুন পৃষ্ঠা খুলে যাবে। সেখানে দিতে হবে বিনিয়োগের বিবরণ।
মনে রাখতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনলাইন বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ টাকা ছাড় দিচ্ছে। শারীরিকভাবে বা এজেন্টের মাধ্যমে বন্ড কিনলে কোনও ছাড় মিলবে না। ডিসকাউন্ট পেতে অনলাইনে আবেদন করার সময়ই ব্রোকারকে বলে রাখতে হবে।
সভেরিন গোল্ড বন্ডের প্রিম্যাচিউর রিডেম্পশনের মূল্য: সভেরিন গোল্ড বন্ডের এক ইউনিট এক গ্রাম সোনার সমতুল্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারতীয় বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত রিডেম্পশনের তারিখ থেকে আগের তিন কার্যদিবসের ৯৯৯ বিশুদ্ধতার সোনার সাধারণ গড় ক্লোজিং মূল্যের উপর ভিত্তি করে রিডেম্পশনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার খালাসের তারিখ হল ১৭ ডিসেম্বর। সুতরাং, ১৪, ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর সোনার গড় দাম ৫,৪০৯ রুপি করা হয়েছিল। এসজিবি ২০১৭-১৮ সিরিজ ১২-এর বিনিয়োগকারীরা, যা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এসজিবিডিইসি ২৫১২-এর অধীনে ট্রেড করছে, ৫৩৭৩ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে। বার্ষিক ১৩ শতাংশ রিটার্ন মেলে।
সভেরিন গোল্ড বন্ডে কর: ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীর জন্য প্রযোজ্য ট্যাক্স ব্র্যাকেট অনুযায়ী, সভেরিন গোল্ড বন্ড থেকে প্রাপ্ত সুদ করযোগ্য। কিন্তু বন্ডের উৎসে কোনও কর কাটা হয় না।
যদি কোনও বিনিয়োগকারী আরবিআই বাইব্যাক উইন্ডোতে এসজিবি বিক্রি করে তাহলে রিটার্নে সম্পূর্ণ কর ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু ফার্ম এবং ট্রাস্টের জন্য নিয়ম ভিন্ন। আরবিআই-এর নির্দেশ অনুসারে, ‘একজন ব্যক্তিকে এসজিবি-র খালাসের উপর উদ্ভূত মূলধন লাভ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ড হস্তান্তরের সময় যে কোনও ব্যক্তির উদ্ভূত দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের জন্য সূচক সুবিধা প্রদান করা হবে’।
সভেরিন গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগে লাভ: বিনিয়োগকারীরা যখন ভৌত সোনার গয়নায় বিনিয়োগ করে, তখন মেকিং চার্জের আকারে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ টাকা বাড়তি দিতে হয়।
সভেরিন গোল্ড বন্ডে এই ধরনের কোনও অতিরিক্ত অর্থপ্রদানের ঝামেলা নেই। দ্বিতীয়ত, ভাল রিটার্ন মেলে। তৃতীয়ত, জিএসটি বা নিরাপত্তা লেনদেন কর দিতে হয় না।