প্রতিটা ট্রেডে ঝুঁকির জন্য কতটা মূলধন:
এক জন বিনিয়োগকারী কতটা ঝুঁকি নিতে পারবেন, সেটা তাঁর অ্যাকাউন্টের উপর নির্ভর করবে। তবে একটা সাধারণ নিয়ম রয়েছে। সেটা হল একটা ট্রেডে অ্যাকাউন্টের ১ শতাংশের বেশি ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। অন্য ভাবে বললে, একটা ট্রেডে অ্যাকাউন্টের ১ শতাংশের বেশি টাকা লোকসান করা উচিত নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: অনেক শহরেই বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম! কোথায় কত হল? জানুন..
যদি অ্যাকাউন্টে ৩০,০০০ টাকা থাকে, তা-হলে প্রতি ট্রেডে ৩০০ টাকা পর্যন্ত লোকসান মেনে নেওয়া যায়। তার বেশি নয়। আবার সমস্ত মূলধনও লাগানো যায়। যেমন - ধরা যাক কোনও বিনিয়োগকারী ২৯ টাকা দামের ১০০০টা শেয়ার কিনলেন। তা-হলে তিনি তাঁর ক্রয়ক্ষমতার প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করলেন। এ-বার সেই বিনিয়োগকারীর যতক্ষণ না ৩০০ টাকার বেশি লোকসান হয়, ততক্ষণ তাঁর ঝুঁকি ১ শতাংশের কম থাকে।
অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন যে, ১ শতাংশ ঝুঁকি মানে মূলধনের ১ শতাংশ অর্থ ট্রেডে খাটাতে হবে। ব্যাপারটা পুরো উল্টো। বেশিরভাগ ডে ট্রেডাররাই মূলধনের বড় অংশই শেয়ারে খাটিয়ে থাকেন। এমনকী কখনও কখনও তাঁদের হাতে যা আছে, তার থেকেও বেশি টাকা খাটান (লিভারেজের মাধ্যমে)।
আরও পড়ুন: আরও কমল টাকার দাম, কবে ফের উত্থান? গোটা বিশ্বেই চলছে একই পরিস্থিতি
ঝুঁকি:
কিছু বিনিয়োগকারী তাঁদের অ্যাকাউন্টের ২ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকি নিতে চান। সাধারণত মূলধন কম কিন্তু বেশি রিটার্নের আশায় এমন ঝুঁকি নিতে উদ্যত হন অনেকেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে, ডে ট্রেডিংয়ে ২৫০০০ টাকার ১ শতাংশ ঝুঁকি নিলে ২৫০ টাকা পর্যন্ত লোকসানের সম্ভাবনা থাকছে। ২ শতাংশ ঝুঁকি নিলে সেটাই বেড়ে ৫০০ হয়ে যাবে।
ঝুঁকির সীমা যেন অতিক্রম না-করে:
বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, তার উপর ভিত্তি করে কতটা ঝুঁকি নেওয়া উচিত। বেশির ভাগ স্টক মার্কেট ডে ট্রেডারদের জন্য ১ শতাংশ বা তার কম ঝুঁকি নেওয়া আদর্শ। এই সীমা মেনে চলতে হবে। সীমা যাতে অতিক্রম না করে, তা নিশ্চিত করার সব থেকে ভাল উপায় হল স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করা। এতে মূল্য বিনিয়োগকারীর সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করলেই বিনিয়োগকারীকে ট্রেড থেকে বার করে দেয়।