TRENDING:

বেতন এলেই জলের মতো খরচ! টাকা বাঁচানোর ৮ সহজ উপায় দেখে নিন!

Last Updated:

সঞ্চয়ের কিছু সহজ এবং বাস্তবসম্মত কৌশল রয়েছে। সেগুলো মেনে চললেই স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের টাকা জমিয়ে ফেলা যাবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফলে বাড়ছে খরচ। মাসের শুরুতে বেতন হাতে আসার পর নিমেষেই সবটা খরচ হয়ে যায়। বাকি মাস টানাটানির সংসার। সঞ্চয় প্রায় হয় না বললেই চলে। এমন অভিজ্ঞতা কম বেশি সকলেরই আছে। তবে সঞ্চয়ের কিছু সহজ এবং বাস্তবসম্মত কৌশল রয়েছে। সেগুলো মেনে চললেই স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের টাকা জমিয়ে ফেলা যাবে।
advertisement

কোথায় কত খরচ, লিখে রাখতে হবে: সঞ্চয় শুরুর প্রথম ধাপই হল, কোথায় কত খরচ হচ্ছে তা হিসেব রাখা। এটা খুব জরুরি। ইলেকট্রিক বিল, মুদিখানা থেকে গৃহস্থালীর টুকিটাকি জিনিস কিংবা চাল, ডাল কেনা, কোথায় কত খরচ হচ্ছে তা লিখে রাখতে হবে, খুঁটিনাটি সমস্তটাই। প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড কিংবা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ব্যবহার করা যায়।

advertisement

আরও পড়ুন: সঞ্চয়ের থেকে বিনিয়োগই ভালো, এই কথাটা কতটা সত্য? রইল বিনিয়োগের সাতসতেরো!

বাজেটেই সঞ্চয়: এখন মাসে কত টাকা খরচ হয় তার একটা পরিষ্কার হিসেব রয়েছে। এবার একটা বাজেট করতে হবে। যাতে আয়ের সাপেক্ষে ব্যয়ের পরিকল্পনা ছকে ফেলা যায়। এতে অতিরিক্ত খরচে লাগাম পরানো যাবে। এবার বাজেটেই কত টাকা সঞ্চয় করলে কোনও অসুবিধে হবে না, সেটা রাখতে হবে। আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করা উচিত।

advertisement

খরচে কাটছাঁট: যিনি যতটা সঞ্চয় করতে চান, ততটা সম্ভব না হলে খরচে কাটছাঁট করতে হবে। এটাই একমাত্র পথ। কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। যেমন সিনেমা দেখা, রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া, নতুন কিছু কেনার পরিকল্পনা এক্ষেত্রে বাদ দেওয়াই ভাল।

আরও পড়ুন: একের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ? সুবিধার চেয়ে অসুবিধে হচ্ছে না তো, জেনে নিন

advertisement

সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ: অর্থ সঞ্চয় করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটা হল, লক্ষ্য নির্ধারণ করা। কী কারণে স্বল্প মেয়াদে (এক থেকে তিন বছর) এবং দীর্ঘ মেয়াদে (চার বা ততোধিক বছর) সঞ্চয় করা প্রয়োজন সেটা আগে ঠিক করতে হবে। তারপর সে জন্য কত টাকা প্রয়োজন এবং সেই টাকা সঞ্চয় করতে কতদিন সময় লাগতে পারে তা ঠিক করতে হবে।

advertisement

আর্থিক অগ্রাধিকার: কী জন্য সঞ্চয় করা হচ্ছে সেটা ঠিক করতে পারলে লক্ষ্যে পৌছনোটা সহজ হয়ে যায়। তবে এজন্য কোন ক্ষেত্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন সেটাও বুঝতে হবে। যদি কেউ ভবিষ্যতে গাড়ি কিনতে চান, তাহলে এখন থেকেই টাকা জমানো শুরু করতে হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ভুললে চলবে না। যেমন অবসর গ্রহণের পরিকল্পনায় টাকা জমানো। এখন কোনটা কতটা অগ্রাধিকার দিতে হবে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি।

সঠিক জায়গায় সঞ্চয়: স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য বাজারে অনেক সংস্থা রয়েছে। সবগুলোকেই খুটিয়ে দেখতে হবে। ফি, সুদের হার, ঝুঁকি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এর মধ্যে থেকে যেটা লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে ভালো সাহায্য করতে পারবে বলে মনে হবে সেখানেই সঞ্চয় করা উচিত। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে।

সরাসরি সেভিংস: প্রায় সব ব্যাঙ্কই চেকিং এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তর অফার করে। কখন, কত এবং কোথায় অর্থ স্থানান্তর করতে চান, সেটা সঞ্চয়কারী ঠিক করতে পারেন। প্রতিটি পে-চেকের একটি অংশ সরাসরি সেভিংস অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সঞ্চয়ে নজরদারি: প্রতি মাসে কত সেভিংস হচ্ছে, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সঙ্গে করতে হবে বাজেট পর্যালোচনা। এতে সমস্যাগুলো দ্রুত সনাক্ত করা যাবে। ফলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া এটা দ্রুত সঞ্চয়ে অনুপ্রাণিতও করবে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
বেতন এলেই জলের মতো খরচ! টাকা বাঁচানোর ৮ সহজ উপায় দেখে নিন!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল