সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ১৮-৬৫ বছরের মধ্যে যে কেউ এই স্ট্যান্ডার্ড টার্ম প্ল্যানের সুবিধা পেতে পারেন। ম্যাচিওরিটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ৭০ বছর। তবে ৭০ বছরের পর আর চালু থাকবে না প্ল্যানটি। এর পলিসি টার্ম পাঁচ থেকে ৪০ বছর। এ ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পলিসি স্কিম রয়েছে।
advertisement
এ বার জেনে নেওয়া যাক, কেন এই পলিসি কেনা উচিৎ-
এই পলিসির সুবিধা
অন্যান্য লাইফ ইনসিওরেন্স প্রোডাক্টের থেকে তুলনামূলক সুবিধাজনক এই সরল জীবন বিমা। যাঁরা প্রথমবার পলিসি কিনছেন, তাঁদের জন্য যথাযথ এটি। টার্ম ইনসিওরেন্সের খুঁটিনাটি সম্পর্কে যাঁদের ধারণা নেই, তাঁরাও সহজে এই পলিসির সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। পলিসিটি কেনার পর ভবিষ্যতেও খুব একটা ঝামেলা-ঝক্কি পোহাতে হবে না।
উপলব্ধ রয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও
করোনা পরিস্থিতিতে সবাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকছেন। এ ক্ষেত্রে ভিড় এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির তরফে । যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এজেন্টদের বোঝাতে না হয় বা ব্রাঞ্চ অফিসে ভিড় না বাড়ে, তাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধাও। সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পলিসি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও দেওয়া থাকছে। একই সুবিধা পাওয়া যাবে সরল জীবন বিমার ক্ষেত্রেও। এই সব সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কয়েকটি অফারও দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাঁরা অনলাইনে প্ল্যানটি কিনবেন, তাঁদের প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
আপনার আয় এই পলিসি কেনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না
অন্যান্য টার্ম প্ল্যান না পলিসির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বার্ষিক আয় একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। তবে এই টার্ম ইনসিওরেন্স প্ল্যান কেনার ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় নিয়ে খুব একটা বিচার-বিবেচনা করতে হবে না। যাঁরা দৈনিক আয় করেন বা যাঁদের কাছে সে ভাবে কোনও বড় ও নিশ্চিত আয়ের জায়গা নেই, তাঁদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এই প্ল্যানটি। যতটা প্রিমিয়াম দিতে পারবেন, সেই মতো সাধ্য বুঝে করা যেতে পারে এই নতুন পলিসি। তাই গ্রামাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষজনের জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে এই সরল জীবন বিমা।
পলিসি কেনার সময় নজর দিতে এই বিষয়গুলিতে-
যেহেতু শীঘ্রই এই পলিসি লঞ্চ হতে চলেছে, তাই কিছু বিষয়ে আগেভাগে সচেতন হতে হবে। যাঁরা পলিসিটি কিনছেন, তাঁদের ভালো করে রিসার্চ ওয়ার্ক সেরে ফেলতে হবে। কারণ পলিসি কেনা আর ক্লেইম সেটেলমেন্ট (Claim Settlement) এক বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকে এই ধরনের যদি কোনও পলিসি থাকে, তা হলে সেই পলিসির সঙ্গে তুলনা করে একটা মূল্যায়ণ করা যেতে পারে। প্রিমিয়ামের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এগুলির পাশাপাশি সলভেন্সি রেশিও (Solvency Ratio), ক্লেইম সেটেলমেন্ট রেশিও (Claim Settlement Ratio) সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, একটি সংস্থা কতটা নির্ভরযোগ্য ও সেই সংস্থার দাবিগুলি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা বুঝতে সাহায্য করে সলভেন্সি রেশিও। এর পাশাপাশি দেখতে হবে ক্লেইম সেটেলমেন্ট রেশিওর পরিমাণ বেশি না কম! কারণ এটি প্রিমিয়ামের সঙ্গেও জড়িত। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে!
