সিএনবিসি আওয়াজ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হোম লোন নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পত্তি ও বন্ধকের নথি ডিজিটালাইজ করার সবুজ সংকেত দিয়েছে। বর্তমানে প্রথমে গ্রাহকরা হোম লোনের জন্য প্রাথমিক আবেদন করেন। এরপরে তাঁদের নথি যাচাই করা হয়। কিন্তু আগামী দিনে হোম লোনের ক্ষেত্রে এই পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কর্মীদের জন্য বিশাল খবর আসছে নতুন বছরে, পেনশন ও বেতনে বাম্পার বৃদ্ধি!
হোম লোনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নথি যাচাই করার পরে অর্থাৎ যদি সেগুলি সঠিক থাকে তাহলে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি পরীক্ষা করে থাকেন। এরপর ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোর চেক করা হয়। সবকিছু ঠিক হওয়ার পর ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারা ঋণ অনুমোদনের চিঠি দেন। সিএনবিসি আওয়াজ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হোম লোন নেওয়ার এই পুরো প্রক্রিয়াটি আগামী দিনে অনলাইনে হতে চলেছে।
এর পরে ঋণগ্রহীতা এবং ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, যার অধীনে ঋণগ্রহীতাকে তার স্থাবর সম্পত্তির মূল নথি ব্যাঙ্কে জমা দিতে হয়। ঋণ চুক্তির জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি ঋণের পরিমাণের ০.১ থেকে ০.২ শতাংশ হারে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার পেশ করতে চলেছে ভারত বন্ড ETF-এর চতুর্থ কিস্তি, জানুন খুঁটিনাটি!
এত কিছু প্রক্রিয়ার পর ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতাকে ডেকে সম্পত্তি বিক্রেতার নামে একটি চেক দেয়। এর পরে সেই গ্রাহকের ঋণের ইএমআই (EMI) শুরু হয়।
গ্রাহকের নিজের বাড়ি অর্থাৎ স্বপ্নের বাড়ি গড়ে তোলার জন্য হোম লোন দেওয়া হয়ে থাকে। যা এতদিন ধরে অফলাইনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হত। কিন্তু, সিএনবিসি আওয়াজ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই হোম লোন নেওয়ার প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পূর্ণ অনলাইন হতে চলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে সম্পত্তি ও বন্ধকের নথি ডিজিটালাইজ করার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো অনলাইন ভেরিফিকেশনের দ্বারা ঋণ দিতে পারে।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে যে,অনলাইনে সম্পত্তি কেনাও সম্ভব হতে পারে, যদি রাষ্ট্রীয় স্ট্যাম্প এবং নিবন্ধন আইন পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে রিয়েল এস্টেট বিক্রি বাড়বে।