বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই বৈঠকের পরেই ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ অর্থবর্ষে শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকের যাবতীয় হিসেব পেশ করা হবে, ইতিপূর্বে এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ১৬.৭৪,১৮৬ কোটি মূলধন সম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। শেয়ারহোল্ডার এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন ২০ জানুয়ারি, ২০২২, বিকেল ৩টে ৩০ মিনিটের পরে- এমনটাই জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- তরতরিয়ে ছুটছে রিলায়েন্সের ঘোড়া, জিও ও রিটেলে ২১ শতাংশ আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা
যদিও অনুমান করা হচ্ছে যে ধনকুবের এবার বাণিজ্যিক খাতে সামান্য হলেও রাজস্ব ঘাটতি দর্শাতে পারেন। সংস্থার রেভেনিউ পড়তে পারে ৫.৩ শতাংশ। অর্থাৎ তা ২,৩০,০৫৫ কোটি থেকে নেমে আসতে পারে ২,১৭,৮৩৪ কোটিতে। অবশ্য EBITDA-র দিক থেকে দেখলে ৮ শতাংশ বেড়ে তা ৩৩,৭৪২ কোটিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনই মনে করা হচ্ছে যে নেট প্রফিট ১৭ শতাংশ বাড়তে পারে। বিগত ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১৩,৬৫৬ কোটি, এবার তার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৫,৯৯০ কোটি।
রিটেল রেভেনিউয়ের ক্ষেত্রেও লাভের কথাই অনুমান করা হচ্ছে। বিগত ত্রৈমাসিকে তা ছিল ৬৪,৯৩৬ কোটি; এবার ৮ শতাংশ বেড়ে পৌঁছে যেতে পারে ৭০,১৪৮ কোটিতে। রিলায়েন্স জিও-র রেভনিউও বেড়ে ২৩,৩৬২ কোটিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে- বিগত ত্রৈমাসিকের ২২,৫২১ কোটির তুলনায় তার বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ। এই খাতে নেট প্রফিট ৫ শতাংশ বেড়ে অঙ্কটা দাঁড়াতে পারে ৪,৭৫৮ কোটি।
আরও পড়ুন- আগামী সপ্তাহে ভোট প্রচারে ফের মেঘালয় যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে সংস্থার নেট ডেবটের পরিমাণ কী, রিটেল এবং নতুন শক্তি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণই বা কতটা, জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের জন্য নতুন কোনও ঘোষণা করা হবে কি না, ৫জি নিয়েই বা কী চিন্তা-ভাবনা চলছে- সেই সব জানতে আপাতত উৎসুক দেশ।
অবশ্য, পরিস্থিতি যা-ই থাক, শেয়ারহোল্ডারদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। গত বছরের শেষে সংস্থার কনসলিডেটেড নেট প্রফিট ১৩,৬৮০ কোটি থেকে এসে ঠেকেছিল ১৩,৬৫৬ কোটিতে। জুলাই মাসে কেন্দ্রের আবগারি শুল্ক বাড়লেও ১৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধির মুখ দেখে সংস্থা ঘরে তুলেছিল ৩৪,৬৬৩ কোটি।
একই ভাবে, বেড়েছিল রিলায়েন্স জিওর নেট প্রফিটও। গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তা, ৩,৫২৮ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪,৫১৮ কোটিতে। ২০২৩ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও লাভের ধারা অব্যাহত- ২০ শতাংশ বেড়ে তার পরিমাণ ছিল ২২,৫২১ কোটি।
অন্য দিকে, ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষের নিরিখে সংস্থা ৮০ শতাংশ শেয়ার বা শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ইক্যুইটির লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এবার তার পরিমাণ কতটা বাড়ে, সেই আশায় উদগ্রীব রিলায়েন্স পরিবারের সদস্যরা।