আম্বানি আরআইএল-এর ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বলেন, “আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই জিও জাতির সেবায় তার ১০তম বর্ষে পদার্পণ করবে। এই দশ বছর ভারতের ডিজিটাল ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। আজ আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, জিও পরিবার ইতিমধ্যেই ৫০ কোটির বেশি গ্রাহকের সীমা অতিক্রম করেছে। এই মাইল ফলক আপনাদের অটল আস্থা ও সমর্থনের প্রতীক। আমি প্রত্যেককে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।”
advertisement
জিও-র সাফল্য উল্লেখ করতে গিয়ে আম্বানি বলেন—
জিও ভারতের প্রতিটি প্রান্ত থেকে বিনামূল্যে ভয়েস কলের ব্যবস্থা করেছে।
সাধারণ ভারতীয়দের মোবাইলে ভিডিও দেখা ও ডিজিটাল পেমেন্টকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
আধার, ইউপিআই, জনধন, ডাইরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার-এর মতো ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং এক নতুন আত্মবিশ্বাসী প্রজন্মকে শক্তিশালী করেছে।
১০০-রও বেশি ইউনিকর্নের জন্ম দিয়ে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম বানিয়েছে।
বিশ্বের দ্রুততম ৫জি রোলআউট ঘটিয়ে ভারতের এআই বিপ্লবের ভিত তৈরি করেছে।
তিনি আরও জানান, এই সাফল্যের জেরেই জিও-র আর্থিক কর্মদক্ষতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। অর্থবর্ষ ২০২৫ সালে জিও-র আয় দাঁড়িয়েছে ₹১,২৮,২১৮ কোটি (১৫ বিলিয়ন ডলার), যা বছরে ১৭% বৃদ্ধি। একই সময়ে EBITDA ছিল ₹৬৪,১৭০ কোটি (৭.৫ বিলিয়ন ডলার)। আম্বানির বলেন, “এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, জিও ইতিমধ্যেই বিপুল সম্পদ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় সম্পদ তৈরি করবে। আজ আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, জিও শেয়ার বাজারে নামার সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা লক্ষ্য রেখেছি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জিও-র আইপিও তালিকাভুক্তি করার, অবশ্যই প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার শর্তে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে আম্বানি জানান, জিও পাঁচটি প্রতিশ্রুতির ওপর দাঁড়িয়ে এগোচ্ছে—
প্রতিটি ভারতীয়কে মোবাইল ও হোম ব্রডব্যান্ডে সংযুক্ত করা।
প্রতিটি ভারতীয় পরিবারকে ডিজিটাল পরিষেবা দেওয়া—জিও স্মার্ট হোম, জিও টিভি+, জিও টিভি ওএস এবং নিরবচ্ছিন্ন অটোমেশন।
প্রতিটি ভারতীয় ব্যবসা ও এন্টারপ্রাইজকে সহজ, স্কেলেবল ও সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাইজ করা।
ভারতে এআই বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া। আমাদের মূলমন্ত্র—‘AI Everywhere for Everyone’।
ভারতের বাইরে কার্যক্রম প্রসারিত করে স্বদেশি প্রযুক্তিকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।