তিনি আরও বলেন, ” আমি অনেককে বলতে শুনেছি: ‘জিও আমার জীবন বদলে দিয়েছে’, আর ‘আমি জিওকে ভালোবাসি’। কিন্তু আমি হৃদয় থেকে বলছি: ‘আসলে, প্রত্যেক ভারতীয়ই জিও তৈরি করেছে, তাদের জীবনের অংশ করে নেওয়ার মাধ্যমেই।’”
জিও-র আয় FY-25 অর্থবর্ষে দাঁড়িয়েছে ১,২৮,২১৮ কোটি টাকা (১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। EBITDA ৬৪,১৭০ কোটি টাকা (৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। আম্বানি বলেন, এই পরিসংখ্যানগুলি প্রমাণ করে যে জিও ইতিমধ্যেই বিশাল মূল্য সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় মূল্য সৃষ্টির জন্য তৈরি।
advertisement
জিও ভারতবর্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিপ্লবের সূচনা করবে। আমাদের মূলমন্ত্র হলো “AI Everywhere for Everyone” — সবার জন্য সর্বত্র AI। জিও ভারতবর্ষের বাইরেও তার কার্যক্রম বিস্তৃত করবে এবং আমাদের দেশীয় প্রযুক্তিকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছেন আরআইএল সিএমডি।
শুক্রবার আম্বানি আরও ঘোষণা করেন যে, জিও তার প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু (IPO) দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে তালিকাভুক্ত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
আরও পড়ুন:৫,৫৫,৫৫৫ টাকা বা ৭,৭৭,৭৭৭ টাকা চান? মাসিক কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে জেনে নিন
আম্বানি বলেন, “আজ আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, জিও তার IPO দাখিল করার সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই জিও-কে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছি, সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদনের সাপেক্ষে।”
আরও পড়ুন:হু হু করে বেড়েই চলেছে সোনার দাম, কোথায় গিয়ে থামবে ?
আকাশ আম্বানি, যিনি জিও-কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি বলেন, ” জিও-ই সেই জায়গা যেখানে আমি আমার পেশাগত যাত্রা শুরু করেছি, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, শিক্ষা নিয়েছি এবং নিজের লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছি। আমি জিও-র সঙ্গে বেড়ে উঠেছি, আর এটিকে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে দেখা একইসঙ্গে বিনম্র ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, কারণ জিও আমারই এক অংশ।”