মুকেশ আম্বানির কথায়, অংশীদারদের সঙ্গে মিলে প্রাসঙ্গিক পণ্য তৈরি করতে এবং অনন্য উপায়ে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করবে এটি। তিনি আরও বলেন যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারহোল্ডার জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসে ১:১ ভিত্তিতে শেয়ার লাভ করেছে। আর দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা অনেকটা ছোটখাটো বোনাসের মতো।
আরও পড়ুন– গণেশ চতুর্থীতে লঞ্চ হবে জিও এয়ারফাইবার, বার্ষিক সাধারণ সভায় ঘোষণা মুকেশ আম্বানির
advertisement
জেএফএস ঘোষণা করেছে যে, বিশ্বের প্রথম সারির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ব্ল্যাকরকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা তৈরি করা হবে। আর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এই ব্যবসা গোটা দেশের সাধারণ এবং ভরসাযোগ্য বিনিয়োগের বিকল্প প্রদান করবে। মুকেশ আম্বানি বলেন যে, “যৌথ এই উদ্যোগের মাধ্যমে একে অপরকে শক্তি জোগাবে জেএফএস এবং ব্ল্যাকরক। এতে প্রযুক্তি-সক্ষম, সাশ্রয়ী এবং উদ্ভাবনী বিনিয়োগের বিকল্প পাওয়া যাবে।”
এদিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এজিএম-এর আগে গত সপ্তাহেই জেএফএস-এর লিস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জেএফএস রিলায়েন্স স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। আম্বানি আরও বলেন যে, “ভারতীয় অর্থনীতির একটা বড় অংশের আর্থিক পরিষেবার প্রয়োজনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থান পূরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে জেএফএস। বিশেষ করে গ্রামীণ, আধা-শহুরে এবং শহুরে এলাকার ইনফর্মাল এবং অনুন্নত সেক্টরের জন্যই এই উদ্যোগ। এটা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি উন্নয়নের জোয়ারও আনবে।”
আরও পড়ুন– ‘৯,৭৪,৮৬৪ কোটি টাকা আয় রিলায়েন্সের’, বার্ষিক সাধারণ সভায় জানালেন মুকেশ আম্বানি
ব্ল্যাকরক সিইও ল্যারি ফিঙ্ক বলেন যে, “এই নতুন পার্টনারশিপের জন্য আমি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। ৩৫ বছর ধরে আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল যে, বিশ্বের কোটি কোটি বিনিয়োগকারীর জন্য বিনিয়োগকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তোলা। তাই ভারতে জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের সঙ্গে আমাদের আসন্ন যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আমি গর্ববোধ করছি।”
মুকেশ আম্বানি বৈঠকে আরও বলেন যে, ডিজিটাল পদ্ধতির হাত ধরে রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে জেএফএস আর্থিক পরিষেবার অনুপ্রবেশের ব্যাপক বিস্তার ঘটাবে। এর ফলে আর্থিক পরিষেবার সরলীকরণ ঘটবে এবং পরিষেবার খরচও হ্রাস পাবে। এছাড়াও ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে এই পরিষেবা সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন প্রতিটি নাগরিক।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ১০ বছরে ক্রমবর্ধমান ভাবে ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। যা দেশের অন্যান্য কর্পোরেট সংস্থার তুলনায় অনেকটাই বেশি।