১. কভারেজ অ্যামাউন্ট
কভারেজ অ্যামাউন্ট মানে হল হেল্থ ইনসিওরেন্সে উল্লেখ থাকা মোট টাকার পরিমাণ। মানে কোনও কারণে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হলে মোট যত টাকার সুবিধা পাওয়া যায় ইনসিওরেন্স থেকে, সেটাই হল কভারেজ অ্যামাউন্ট। নিয়ম করে এর পরিমাণ কিন্তু বাড়ানো উচিত। ধরা যাক, ২৩ বছর বয়সে এক জন ব্যক্তি যে হেল্থ ইনসিওরেন্স করিয়েছেন, তার কভারেজ অ্যামাউন্ট ছিল ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই ব্যক্তিই যখন ৩২ বছর বয়সে এসে পৌঁছবেন, তখন কিন্তু এই ৩ লক্ষ টাকা চিকিৎসার খরচের দিক থেকে কম বই বেশি নয়! কেন না, দিন দিন আমাদের দেশে চিকিৎসার খরচ, হাসপাতালের পরিষেবা দুর্মূল্য হয়ে উঠছে। তাই উপার্জনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই কভারেজ অ্যামাউন্ট পলিসি রিনিউ করার সময়ে বাড়ানো উচিত।
advertisement
২. পলিসি টার্মে বদল
হেল্থ ইনসিওরেন্সের পলিসি কিন্তু সময়ে সময়ে বদলাতে থাকে। তাই প্রতি বার রিনিউ করানোর সময়ে কী কী পরিবর্তন এসেছে বা পলিসির টার্ম একই আছে কি না, তা দেখে নেওয়া উচিত। এই বিষয়ে সব চেয়ে জরুরি হল হাসপাতালের তালিকায় নজর রাখা। যে পলিসি করানো হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। এক্ষেত্রে দেখে নেওয়া উচিত বাড়ির কাছাকাছি হাসপাতালে ওই পলিসি প্রযোজ্য হচ্ছে কি না! না হলে তা বজায় রাখার কোনও মানে হয় না। এছাড়া কোন কোন রোগ ওই পলিসি কভার করছে, সেটাও প্রতি বছর রিনিউ করার সময়ে মিলিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে নিজের রোগের উল্লেখ করে যাচাই করে নিতে হবে যে পলিসি তা কভার করবে কি না!
৩. সেরা পরিষেবার সুবিধা
হেল্থ ইনসিওরেন্স সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফ থেকে আমাদের দেওয়া একটা পরিষেবা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে সব সংস্থাই একে অন্যকে টেক্কা দিতে চায়, সেই মতো তারা নতুন নতুন পরিষেবা দিতে থাকে গ্রাহকদের। তাই এটাও যাচাই করা প্রয়োজন যে আমাদের পলিসি সংস্থার চেয়ে আর কোনও সংস্থা উন্নত পরিষেবা দিচ্ছে কি না! নিলে রিনিউ করার সময়ে সেই সংস্থায় পলিসি পোর্ট করিয়ে নেওয়াটাই বিচক্ষণের কাজ হবে!
