রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংস্থার মোট আয় হয়েছে ৭৭১৪৮ কোটি টাকা। যা গত বছরের ওই একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ১৮.৮ শতাংশ ইয়ার-অন-ইয়ার বেড়েছে। প্রসঙ্গত গত বছরের সংশ্লিষ্ট ত্রৈমাসিকের মোট আয় ছিল ৬৪৯২০ টাকা।
গ্রসারি এবং ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্যবসা শক্তিশালী বৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে পেরেছে। অন্য দিকে এফওয়াই২৪-এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পতন হওয়া সত্ত্বেও কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে স্থির পারফরমেন্স দেখা গিয়েছে।
advertisement
রিলায়েন্স রিটেল ৫৮২০ কোটি টাকার একটি EBITDA পোস্ট করেছে। যা ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে ৩২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেট সেলসের উপর কাজ থেকে EBITDA মার্জিন ছিল ৮.১ শতাংশ। যা অপারেটিং লিভারেজ এবং কস্ট ম্যানেজমেন্টের উপর ক্রমাগত মনোনিবেশ করার ফলে ইয়ার-অন-ইয়ার ৭০ বিপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বার সংসার পাতার জন্য প্রস্তুত অমলা, গোয়ায় প্রেমিকের বিয়ের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ নায়িকার
রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্স লিমিটেডের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ইশা এম আম্বানি বলেন যে, “আমরা আরও একটা ত্রৈমাসিকে দুর্দান্ত কাজ করেছি এবং আর্থিক দিক থেকে সর্বকালের উচ্চতা অর্জন করতে পেরেছি। এর জন্য আমি সত্যিই খুব খুশি। এই পারফরমেন্স আমাদের গ্রাহক-কেন্দ্রিক পদ্ধতির একটি প্রমাণ, যা রিলায়েন্স রিটেলকে সঠিক রূপে বর্ণনা করতে পারে। এই উৎসবের মরশুমে নতুন আশা এবং উদ্যমের সঙ্গে গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য।”
ওই ত্রৈমাসিকে ৪৭১টি নতুন স্টোর খুলেছে সংস্থা। যার ফলে তাদের বিস্তৃতি এখন ৭১.৫ মিলিয়ন বর্গফুট জায়গা জুড়ে। আর স্টোরের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৮৬৫০-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই ত্রৈমাসিকে ফুটফলের ক্ষেত্রেও ইয়ার-অন-ইয়ার ৪০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, সমস্ত ফরম্যাটে যা ২৬ কোটিরও বেশি। এর মধ্যেই আবার ডিজিটাল কমার্স এবং নিউ কমার্স ব্যবসার আয়ের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে, যা মোট আয়ের ১৯ শতাংশ।
গোটা বিশ্বের সম্মানীয় বিনিয়োগকারীরা ফের নতুন করে রিলায়েন্স রিটেলের দৃষ্টিভঙ্গি, সঞ্চালন ক্ষমতা এবং ভ্যালু জেনারেশনের উপর আস্থা রেখেছেন। আর এই সব বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সাম্প্রতিক এক ফান্ডিংয়ে এই সংস্থা সফল ভাবে ১৫৩১৪ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে রিলায়েন্স রিটেল মোট ৫১৫০ কোটি টাকায় একটি ওয়্যারহাউজ InvIT সংস্থার কাছে সম্পদ ট্রান্সফার চূড়ান্ত করেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত আদার ফিনান্সিয়াল অ্যাসেটস-এর অধীনে এই অ্যাসেট ভ্যালু রেকর্ড করা হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ডিভিশনের রিপোর্টেও ১১ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। গত ১৫ অগাস্টের ডিজিটাল ইন্ডিয়া সেল-এ ২৩ শতাংশ ইয়ার-অন-ইয়ার বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল এক্সক্লুসিভ প্রোডাক্ট রেঞ্জ, নতুন জিনিস চালু এবং লোভনীয় সব অফার। ফোন এবং উচ্চ মানের টেলিভিশনের মাধ্যমে নিউ কমার্স নিজেদের মার্চেন্ট পার্টনারশিপ ইয়ার-অন-ইয়ার ৪৪ শতাংশ বাড়িয়েছে।
ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ব্যবসায় ৩২ শতাংশ ইয়ার-অন-ইয়ার বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আবার অন্য দিকে পরবর্তী ত্রৈমাসিকে উৎসবের মরশুমের পতন সত্ত্বেও অফলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে চোখে পড়েছে শক্তিশালী বৃদ্ধি। গ্রসারিতেও ৩৩ শতাংশ ইয়ার-অন-ইয়ার বৃদ্ধি হয়েছে। যা প্রথমে স্মার্ট এবং স্মার্ট বাজার ফরম্যাটে পরিচালনা করা হত। রাখিবন্ধন, ওনাম, জন্মাষ্টমী এবং গণপতি উৎসবের কারণে দেদার কেনাকাটা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাহকরা গিফট প্যাক এবং ফেস্টিভ ক্যাটাগরিতে বেশি কেনাকাটা করেছেন।
কনজিউমার ব্র্যান্ডগুলির ক্ষেত্রেও হয়েছে বৃদ্ধি – প্রাথমিক ভাবে বেভারেজ, জেনারেল মার্চেন্ডাইস এবং স্টেপলের ক্ষেত্রে। এই ব্যবসাটি জেনারেল ট্রেড চ্যানেলে ডিস্ট্রিবিউশন সম্প্রসারণের উপর জোর দেয়, যার ফলে বছরে চার গুণ রাজস্ব বৃদ্ধি পায়। বেভারেজগুলিতে বছরে সাত গুণ রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকদের মধ্যে ‘ক্যাম্পা’ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আইসিসি বিশ্বকাপ ইভেন্টের সুবিধার জন্য, ‘ক্যাম্পা ক্রিকেট’ চালু করা হয়েছিল।
ট্র্যাফিক এবং গড় বিল ভ্যালুর জোরালো বৃদ্ধির সঙ্গে স্থায়ী বৃদ্ধির পথ বজায় রেখেছে জিওমার্ট। গত বছরের তুলনায় বিকল্প সংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি এবং সেলার বেস গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির সঙ্গে নিজের ক্যাটালগকে শক্তিশালী করেছে এই প্ল্যাটফর্ম।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ ডি আম্বানি বলেন, “দুর্দান্ত প্রোডাক্ট এবং অফারের মাধ্যমে অফলাইনের পাশাপাশি নিজেদের অনলাইন উপস্থিতি দ্রুত বৃদ্ধি করেছে রিলায়েন্স রিটেল। আমরা আমাদের ইকোসিস্টেম জুড়ে একটি নতুন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করছি। আমাদের রিটেল ব্যবসা মডেলের শক্তি এবং বৈচিত্র্য ধারাবাহিক ভাবে শক্তিশালী পারফরমেন্স দিয়ে চলেছে।”