এই বিপুল বিনিয়োগের পর মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, "রিলায়েন্স যখন জিও চালু করেছিল তখন আমরা প্রতিটি ভারতীয়ের জীবনের মান উন্নত করতে এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সমাজ হিসাবে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। তাই রিলায়েন্সে ভারতের ডিজিটাল বাস্তুসংস্থান বিকাশ করতে আমাদের অংশীদার হিসাবে ফেসবুক-কে স্বাগত জানাই।"
এই চুক্তির পর মুকেশ আম্বানি একটি ভিডিও বার্তা দেন। তিনি বললেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে আপনারা সবাই নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ানর স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। আমাদের লং টার্ম অংশীদার হিসাবে ফেসবুক-কে স্বাগত জানাই। জিও এবং ফেসবুকের এই চুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন পূরণ হবে'।
advertisement
গত কিছু বছরে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রাম ভারতের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। ভারতের ২৩টি সরকারী ভাষায় উপলব্ধ WhatsApp। এখন হোয়াটসঅ্যাপ শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল অ্যাপলিকেশন নয়, এটি এখন আপনার আর আমাদের সবার একটি প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে - এমন এক বন্ধু যে পরিবার, বন্ধু, বিজনেস, তথ্য সন্ধানকারী এবং সরবরাহকারীদের একত্রিত করে।
JioMart platform এ রিটেল ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে ৷ এর জেরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছোট ব্যবসায়ীদের সাহায্য মিলবে ৷ চুক্তি অনুযায়ী, স্থানীয় দোকান, পাড়ার মুদির দোকান, হকাররাও জিওমার্টে রেজিস্টার করতে পারবেন৷ রেজিস্টার হয়ে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে তাঁরা অর্ডার পাবেন৷ জিওমার্টের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বাড়িতে৷ ফলে ছোট মুদির দোকান, হকার বা ছোট ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বাড়াতে পারবেন অনায়াসেই৷ বর্তমানে তাঁদের খরিদ্দাররা মূলত পাড়া বা স্থানীয় এলাকাতেই সীমাবদ্ধ৷ জিওমার্টে রেজিস্টার করে দূরে দূরে গ্রাহক বাড়াতে পারবেন৷
এর পরিবর্তে হোয়াটসঅ্যাপের কী লাভ? হোয়াটসঅ্যাপ-এরও ব্যবসা আরও বাড়বে৷ ভারতে তাঁদের ইউজার বাড়বে৷ প্রচুর ছোট ব্যবসায়ী জিওমার্টে রেজিস্টার করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন৷ ভারতে আরও ব্যবসা বাড়বে হোয়াটসঅ্যাপ-এর৷ ব্যবসা করার জন্য প্রচুর মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্ল্যাটফর্মকেই ভরসা করবেন৷