এদিন আম্বানি জানান, ‘আরও এক বছরের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কথা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। রিলায়েন্সের মোট রেভেনিউ দাঁড়িয়েছে ৯,৭৪,৮৬৪ কোটি টাকা। ২০২৩ অর্থবর্ষে রিলায়েন্সের এবিটডা (EBITDA) ছিল ১,৫৩,৯২০ টাকা। এর মধ্যে নিট লাভ ৭৩,৬৭০ কোটি টাকা’।
বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন ভারতের জয়গান শোনা গেল আম্বানির গলায়। পাশাপাশি রিলায়েন্সের আয়-ব্যয়ের হিসেবও দিলেন। মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘‘এ বছর রিলায়েন্সের রফতানি এক লাফে ৩৩.৪ শতাংশ বেড়ে ৩.৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যা গত বছরের থেকে ৮.৪ শতাংশ বেশি। জাতীয় কোষাগারে রিলায়েন্সের অবদান দাঁড়িয়েছে ১,৭৭,১৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬,৬৩৯ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ এবং পরোকক্ষ কর রয়েছে।’’
advertisement
এই মুহূর্তে কর্মসংস্থান দেশের সবথেকে বড় সমস্যা। রিলায়েন্স এই ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রিলায়েন্স বছরে ২.৬ লক্ষ চাকরি দিয়েছে। ভারতীয়দের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে যা রেকর্ড। এটা আমাকে সবথেকে বেশি তৃপ্তি দেয়। আমাদের অনরোল কর্মীর সংখ্যা ৩.৯ লক্ষ। পরোক্ষ জীবিকার সুযোগ তৈরি করছে আরও বেশি।’’
পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘‘রিলায়েন্স রাজস্ব, মুনাফা, রফতানি, বাজার মূল্য, মূলধন ব্যয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজকোষে অবদানের সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা ব্যয় এবং প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষস্থানীয় ধরে রেখেছে।’’