মুকেশ আম্বানি জানালেন যে, “প্রায় ৭ বছর আগে চালু করা হয়েছিল জিও। এর পিছনে আমাদের একটা উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ছিল। আর সেই লক্ষ্যটা হল, ভারতকে প্রিমিয়ার ডিজিটাল সোসাইটিতে পরিণত করা। জিও বর্তমানে নতুন ভারতের দুর্দান্ত ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। ফলে এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে পা রাখার উচ্চাভিলাষ কাজ করছে আমাদের মধ্যে।” এর পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি জিও-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় তুলে ধরেন। সেগুলিই দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন– ‘৯,৭৪,৮৬৪ কোটি টাকা আয় রিলায়েন্সের’, বার্ষিক সাধারণ সভায় জানালেন মুকেশ আম্বানি
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ৫জি পরিষেবা সরবরাহ করছি। মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই ৯৬ শতাংশেরও বেশি সেনসাস টাউনে জিও ৫জি পরিষেবা সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা গোটা দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। আর এভাবেই জিও ৫জি হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্বে সরবরাহ করা দ্রুততম ৫জি পরিষেবা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভারতের মোট ৫জি সেলের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশই রয়েছে জিও নেটওয়ার্কে। জিও-র বর্তমান গতির প্রসঙ্গটাও উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। প্রতি ১০ সেকেন্ডে আমরা আমাদের নেটওয়ার্কে একটা করে ৫জি সেল যোগ করছি। আর চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আমাদের প্রায় ১ এমএন-এর কাছাকাছি ৫জি সেল কাজ করবে।”
এখানেই শেষ নয়, মুকেশ আম্বানি আরও বলেন যে, “জিও-র নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারী প্রতি ডেটা খরচও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে গড় ব্যবহারকারী প্রায় ২৫ জিবিরও বেশি ডেটা খরচ করছেন। হিসেব করলে দেখা যাবে, জিও-র মাসিক ডেটা ট্রাফিক ১১০০ কোটি জিবি। এর অর্থ হল, ইয়ার-অন-ইয়ার গ্রোথ প্রায় ৪৫ শতাংশ।”
