সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে জেলা গ্রাহক সুরক্ষা কমিশনের তরফে এক বিমা কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পথ দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির পরিবারকে ৪৫ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। ২০২১ সালে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। নিহত ওই ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করার অজুহাত হিসাবে জানিয়েছিল, দুর্ঘটনার পরে যে কয়েকটি দিনের মধ্যে আবেদন করার কথা তার ৩৭ দিন পরে আবেদন করেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন- চিনের হুঁশিয়ারির পরে পাল্টা হুঙ্কার! 'আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারবে না কেউ!' LAC-র দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা অমিত শাহের
পাল্টা যুক্তি হিসাবে জেলা সুরক্ষা কমিশনের তরফে জানানো হয়, যে কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পা্ওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় মৃত ব্যক্তির আত্মীয়ার সে ব্যাপারে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। আর নিহত ব্যক্তির গাড়িনর পারমিট-এরও মেয়াদ পার হয়নি। তাই এক্ষেত্রে
বিমা আইন অনুযায়ী কোনওরকম ক্ষতিপূরণ বা প্রাপ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা টালবাহানা করলে প্রথমে অভিযোগকারী আবেদন করতে পারেন সেই সংস্থার অভিযোগ নিষ্পত্তি বিষয়ক অফিসারের কাছে। এক্ষেত্রে সমস্ত নথিসহ আবেদন করে আর তাঁর কপি রিসিভ করিয়ে নিতে হবে।
যদি বিমা কোম্পানির বক্তব্যে অভিযোগকারী সন্তুষ্ট না হন, তাহলে জেলা বা রাজ্য স্তরে গ্রাহক সুরক্ষা কমিশন-এর কাছে যেতে পারেন। এরপর তিনি ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছেও আবেদন করতে পারেন। আবার কোনও ক্ষেত্রে বিমা ন্যায়পালিকার কাছেও আবেদন জানানো যায়। সারা দেশের মোট সতেরোটি জায়গায় এই রকম বিমা ন্যায়পালিকা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে অবশ্য। উল্লেখিত ওই সব কটি ক্ষেত্রেই আবেদন করার জন্য সমস্ত রকম নথি সহ আবেদন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।