মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব
প্রায় সবাই ১০ বছর বা তার কম সময়ে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে চান। মজার বিষয় হল একই সময়ে তাঁরা তাঁদের ব্যয়ের উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মূল্যায়ন করতে সক্ষম নয়। এটি লক্ষণীয় যে ৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতিতে ব্যয় প্রতি ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়। আমাদের জীবনধারায় বিশেষ পরিবর্তন না করলেও এটি ঘটবে। আজ যদি কোনও ব্যক্তি বর্তমানে মাসিক ১০০০০ টাকা খরচ করেন, তাহলে ১০ বছরে তা ২০০০০ টাকা এবং পরবর্তী ১০ বছরে এটি বাড়তে থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: টাটার এই শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের ২ বছরে দিয়েছে ৭০০ শতাংশ রিটার্ন, কিনেছেন না কি?
সহজ ভাষায়, বেশিরভাগ মানুষ মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবকে মূল্যায়ন করতে পারেন না যার ফলে আর্থিক স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাঁদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হয়। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের একটি পরিণতি হল মানি-ব্যাক এবং এনডাউমেন্ট বিমার মতো পণ্য কেনা যা ১০, ১৫ বা ২০ বছরের শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। এগুলি থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে তার প্রকৃত মূল্য ১০ বছরে অর্ধেক হবে এবং ২০ বছরে এক চতুর্থাংশ হবে।
ফিনওয়াইজ পার্সোনাল ফিনান্স সলিউশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিভা গিরিশ সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলকে বলেন যে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী তাঁদের বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেন নিজেরাই। তাঁরা কোনও বিশেষজ্ঞর সাহায্য ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁদের সঞ্চয়ের কত শতাংশ বিনিয়োগ করবেন এবং কোথায় বিনিয়োগ করবেন।
শর্ট টার্ম রিটার্নে নজর
বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগের উপকরণগুলিতে স্বল্পমেয়াদী আয়ের উপর বেশি নজর দেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে লগ্নিকারীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিনিয়োগ করা উচিত। অনেক সময় বাজারে ওঠা-নামা দেখে দিলে অনেকেই টাকা তুলে নেন যা একবারেই ভালো পদক্ষেপ নয়। দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য থাকলে বার বার স্টক পরিবর্তন লাভজনক হয় না। ইক্যুইটি মার্কেট গত ২ বছর ধরে ভালো পারফর্ম করছে। তবে সবসময় একটি স্টকের পূর্বের পারফরম্যান্স দেখে বিনিয়োগ করা উচিত পদক্ষেপ নয়।