সম্প্রতি ৫জি পরিষেবা চালু হয়েছে। তার পরই রিচার্জের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে টেলিকম সংস্থাগুলি। সিএনবিসি-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের রেট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বরেই মোবাইল রিচার্জের দাম এক প্রস্থ বাড়ানো হয়েছিল। ফের বছর ঘোরার আগেই রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করতে চলেছে টেলিকম সংস্থাগুলো।
advertisement
আরও পড়ুন: সস্তা হল পেট্রোল, দেখে নিন আপনার শহরে কত হল
সিএনবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ৫জি পরিষেবা চালাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে দেড় থেকে দুই লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। রিচার্জের দাম বাড়িয়ে সেই টাকাই তোলা হবে গ্রাহকদের ঘাড় থেকে।
ফিচ রেটিং এবং জেএম ফিনান্সও মোবাইল প্ল্যান ট্যারিফের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছে। তবে ট্যারিফ প্ল্যানের মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র প্রিপেইডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পোস্ট পেইড প্ল্যানের গ্রাহকদেরও গুণতে হবে বাড়তি টাকা।
জেএম ফিনান্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রোল আউট তহবিলের সঙ্গে যুক্ত টেলিকম কোম্পানিগুলির শুল্ক পরিকল্পনা দুই থেকে তিন ধাপে বাড়তে পারে। অন্য দিকে, ফিঞ্চের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিচার্জের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: অবসরকালীন বিনিয়োগ মানেই পিপিএফ নয়, এখানে টাকা রাখলে সুদের সঙ্গে রিটার্নও বেশি
মোবাইল রিচার্জের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ভোডাফোন-আইডিয়ার সিইও গোপাল বিট্টল। তিনি খোলাখুলি বলেছিলেন, ‘এ বছরও রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’। তাঁদের যুক্তি, স্বাস্থ্যকর ব্যবসায়িক মডেলের জন্য এটা প্রয়োজনীয়।
এর আগে ২০২১ সালে রিচার্জের দাম বাড়ানো হয়েছিল। প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইড রিচার্জের দাম বৃদ্ধির আঁচ ৫জি পরিষেবাতেও পড়তে চলেছে। সেখানেও গ্রাহকদের বেশি টাকা গুণতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত আর্থিক বছরে টেলিকম সংস্থাগুলির আয় ৫ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর কোম্পানিগুলি আয় বৃদ্ধির হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশে রাখার চেষ্টা করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।