ভুটানি গ্র্যান্ডথামের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্চিত ভুটানি বলছেন, ‘করোনাকালের অস্থিরতা থেকে আবাসন শিল্প ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। বাজেটে এই খাতকে আরও স্থিতিশীল করার ব্যবস্থা করতে হবে’। সেটা কীভাবে? সঞ্চিতের কথায়, জিএসটি, সার্কেল রেট এবং স্ট্যাম্প শুল্ক হ্রাস নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। এটা করলেই রিয়েল এস্টেট সেক্টর ফের শীর্ষস্থান ফিরে পাবে’। স্ট্রেস ফান্ডের সামগ্রিক পরিমাণ বাড়ানো এবং যখন দরকার তখন ব্যবহার করার সহজ করে তুলতেই জিএসটি হার কমানো এবং এসডব্লিউএএমআইএইচ বৃদ্ধিরও আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অত্যধিক মূল্যস্ফীতির হারের প্রভাব কমাতে এবং স্থবির প্রকল্পগুলির নির্মাণের গতি বাড়াতে রিয়েল এস্টেটরদের সুদের হারে ভর্তুকি পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: স্টক মার্কেটে মালামাল হতে চান? এই বিনিয়োগ মন্ত্র অনুসরণ করলেই কেল্লা ফতে!
আরও পড়ুন: ট্যাক্স স্ল্যাব পরিবর্তনের কথা ভাবছে কেন্দ্র, বাজেটেই হতে পারে ঘোষণা?
রিয়েল এস্টেটকে শিল্পের মর্যাদা প্রদান এবং একটি একক উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম তৈরির দাবিও দীর্ঘদিনের। সরকার ভাতা দিলে দাম কমবে। বাড়ির ক্রেতারা উপকৃত হবেন। জনসাধারণের কাছে আবাসন সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে। সিআরসি গ্রুপের মার্কেটিং এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্টের সলিল কুমার বলছেন, ‘জ্বালানি খরচ সহ ইস্পাত এবং সিমেন্টের মতো ইনপুট খরচ কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের দিকেও তাকিয়ে আছি। বাড়ি তৈরির অন্যতম প্রধান উপকরণ সিমেন্ট। এখানেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। অথচ সিমেন্টের উপরেই ২৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে। এটা উদ্বেগের’।
রিয়েল এস্টেটে বিপুল সংখ্যক ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন। এদের জন্যও সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিরা। ভূমিকা গ্রুপের এমডি উদ্ধব পোদ্দার বলছেন, ‘২০২২ ছিল রিয়েল এস্টেট সেক্টরের সুসময়। কম দাম, কম সুদের হার এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে এই সেক্টর যে দৌড়বে সেটা বোঝা গেছে। আসন্ন বাজেটে নীতিগত পর্যায়ে সরকার এই উদ্যোগগুলো নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ধারা ৮০সি-র অধীনে করছাড়ের সীমা দেড় লাখ থেকে বাড়লে দেশবাসীর নিজের বাড়ি বানানোর স্বপ্নও বাস্তবায়িত হবে’। ২০২৩-এর আসন্ন বাজেটে রিয়েল এস্টেটে সরকারি সহায়তা বাড়বে বলে আশা করছেন মিগসান গ্রুপের এমডি যশ মিগলানি। তাঁর কথায়, ‘সরকারি সহায়তা বাড়লে রিয়েল এস্টেটের জন্য সোনালি দশক হতে চলেছে’।