বিদেশ থেকে সোনা ফিরিয়ে আনার কারণ কী
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে, অনেক দেশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমান শুল্ক যুদ্ধে স্বদেশে সোনা রাখা সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়।
সুরক্ষা
RBI বিশ্বাস করে যে, দেশীয় ভল্টে সোনা সংরক্ষণ করলে বিশ্বব্যাপী সঙ্কট বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক শক্তি বজায় থাকবে। এটি আর্থিক স্বায়ত্তশাসনের দিকে একটি পদক্ষেপ। এর অর্থ হল দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোনও সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
advertisement
ঝুঁকি হ্রাস
রাশিয়া, ইরান এবং ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলির উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারত তার ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরবিআই-এর কাছে মোট সোনার মজুদ
ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত আরবিআই-এর কাছে মোট ৮৮০.৮ টন সোনা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৭৫.৮ টন বর্তমানে ভারতে রয়েছে। এদিকে, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টসের (বিআইএস) মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে প্রায় ২৯০.৩ টন সোনা রয়েছে। ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৮২২.১০ টন। এটি এক বছরে ৫৭.৪৮ টন বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে।
সোনা কোথায় সংরক্ষণ করা হয়
মুম্বই এবং নাগপুরে নিরাপদে সোনা সংরক্ষণের জন্য আরবিআই গোল্ড ভল্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। এবার থেকে আর দেশের সোনা দেশে রাখতে অসুবিধা নেই।
দুই বছরে ভারতে কত সোনা ফিরে এসেছে
২০২৩ সালের মার্চ থেকে আরবিআই বিদেশ থেকে মোট ২৭৪ টন সোনা ভারতে ফিরিয়ে এনেছে।
সোনার দামের উপর প্রভাব
বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা, বেশ কয়েকটি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সোনা কেনা এবং ফেরত আনার খবরের সঙ্গে সঙ্গে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক বছরে সোনার দাম ৫২% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে সোনার দাম প্রতি আউন্স সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪,৩৮১.২১ ডলারে পৌঁছেছে।
