আরবিআই-এর আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি (এমপিসি)-র তিন দিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্যহ্রাসের জেরে মুদ্রাস্ফীতিও রেকর্ড পতন হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে রেপো রেট কমানোর পথেই হাঁটল আরবিআই৷
গত জুন মাসেও রেপো রেট ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করেছিল আরবিআই৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারের বিনিময়ে অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় তাকেই বলা হয়ে রেপো রেট৷ রেপো রেট কমে যাওয়ায় পার্সোনাল, হোম লোনের মতো ঋণের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির হার বা ইএমআই কিছুটা কমবে৷ ফলে স্বস্তি পাবেন সাধারণ ঋণগ্রহীতারা৷
advertisement
গত মাসেই আরবিআই-এর গভর্নর জানিয়েছিলেন, ভূরাজনৈতিক কারণে বাণিজ্যিক লেনদেনে বাধা সৃষ্টি হলেও দেশের বৃদ্ধির হার যথেষ্ট মজবুত রয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতিতেও লাগাম পরানো সম্ভব হয়েছে৷ নতুন বছরের দিকেও আরবিআই ইতিবাচক প্রত্যাশা নিয়েই তাকিয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন আরবিআই গভর্নর৷
আরবিআই জানিয়েছে, তাদের দেওয়া পূর্বাভাসের থেকেও নীচে নামতে পারে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার৷ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২ শতাংশের নীচে নামতে পারে বলেই নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ এর আগে আরবিআই জানিয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি থাকতে পারে ৬.৮ শতাংশ৷ নতুন ভবিষ্যদ্বাণীতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বৃদ্ধির হার আরও বেড়ে ৭.৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে৷
