তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশ্বস্ত করেছে, এই ত্রুটি সংশোধন করে নিলে নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করা হবে। আরবিআই-এর পদক্ষেপের পরই একটি বিবৃতি জারি করেছে বাজাজ ফিনান্সও। সেখানে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত দুটি ঋণ পণ্যের অধীনে দেওয়া ঋণের জন্য আমরা কি ফ্যাক্ট স্টেটমেন্ট জমা দিতে চাই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা কেএফএস-এর বিশদ পর্যালোচনা করব। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
advertisement
আরও পড়ুন: কমলা সতর্কতা একাধিক জেলায়! হঠাৎ বদলাবে আবহাওয়া, গভীর নিম্নচাপে ধেয়ে আসছে বৃষ্টি! জানুন জরুরি খবর
পাশাপাশি বাজাজ ফিনান্স আরও জানিয়েছে, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকার পরই কোম্পানি দুটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। ক) ইকম-এর অধীনে নতুন ঋণের অনুমোদন এবং বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে। খ) ইনস্টা ইএমআই কার্ড-এ অনলাইন বা ডিজিটালি নতুন ঋণের অনুমোদন ও বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে। আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমস্ত নির্দেশাবলী মেনে চলব। সেই অনুযায়ী ত্রুটি সংশোধনের কাজ চলছে। গ্রাহকদের নির্বিঘ্নে আর্থিক পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য’।
ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে এবং বেআইনি কার্যকলাপ ও জালিয়াতি রুখতে ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট ডিজিটাল ঋণ নিয়ন্ত্রণের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর আগে ২০২১ সালে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে তারা ডিজিটাল ঋণদাতাদের জন্য বেশ কিছু কঠোর নিয়মের প্রস্তাব করে। তার মধ্যে কিছু গৃহীত হয়। বাকি পরীক্ষাধীন।
গত কয়েক বছরে তাৎক্ষণিক ঋণদাতার সংখ্যা আচমকা বেড়েছে। বিশেষ করে করোনা অতিমারীর সময় এদের বাড়বাড়ন্ত হয়। এই সংস্থাগুলি সহজ শর্তে ঋণ দেয় বটে। কিন্তু ঋণের টাকা তুলতে এজেন্ট দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে বলে অভিযোগ। মূলত এদের ঠেকাতেই অনলাইন এবং ডিজিটাল ঋণের লেনদেনে লাগাম টানতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।