১)এরপর থেকে সমস্ত রিয়েল এস্টেট প্রজেক্ট প্রোমোটার, প্রজেক্ট, লেআউট প্ল্যান, ভূমি পরীক্ষার তথ্য সবিস্তারে রেগুলেটরি অথরিটির কাছে নথিভুক্ত করাতে হবে ৷ এর সঙ্গেই জমা দিতে হবে প্রজেক্ট সংক্রান্ত সমস্ত অনুমতিপত্র ৷ রিয়েল এজেন্ট, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, কনট্রাক্টর, আর্কিটেক্টের সঙ্গে হওয়া চুক্তির সবিস্তার তথ্য জমা দিতে হবে ৷
২) প্রপার্টি বা কমপ্লেক্স বিক্রি করার সময় ধর্ম, জাত-পাত ও লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য করা যাবে না ৷ এমনকী, আবাসনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও উক্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে কাউকে ফ্ল্যাট বিক্রি করাতে বাধা দান করতে পারবেন না ৷
advertisement
৩) বিল্ডার ক্রেতাদের তরফ থেকে যত টাকা পাবেন তার ৭০ শতাংশ জমি ও নির্মাণের খরচ বাবদ এসক্রো অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ তৃতীয় পক্ষের কোনও অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে ৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেতাকে তাঁর বাড়ি বা প্রজেক্ট হস্তান্তরিত করা হচ্ছে কিনা তাতে নজর রাখবে রাজ্যের রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি ৷
৪) প্রজেক্ট নথিভুক্ত না করা অবধি প্রজেক্ট কোনভাবেই লঞ্চ করা যাবে না ৷
৫) ৫০০ স্কোয়ার মিটার অথবা সর্বোচ্চ ৮ তলার বেশি যে কোনও অ্যাপার্টমেন্ট রিয়েল এস্টেট বিলের আওতাভুক্ত হবে ৷
৬) ডিজাইন আর বাস্তব প্রজেক্টের মধ্যে পার্থক্য থাকলে বিল্ডারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
৭) প্রতিশ্রুতির খেলাপ ঘটলে ক্রেতার সমস্ত টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে বিল্ডারকে ৷
৮) এই সব অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রোমোটারদের তিনবছর পর্যন্ত এবং রিয়েল এস্টেট এজেন্টদের একবছর পর্যন্ত জেল হতে পারে ৷ এমনকী, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করলে কর্তৃপক্ষ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিতে পারেন৷
৯) ক্রেতারাও যদি ট্রাইবুনালের কোনও নির্দেশ না মানেন তাহলে তাদের আর্থিক জরিমানা দিতে হবে ৷
১০) বিল্ডারদের শেষ পাঁচ বছরে তাদের করা সমস্ত সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণ প্রজেক্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে রেগুলেটরি অথরিটিকে ৷ এই বিল্ডার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি রেগুলেটরি অথরিটির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে ৷ যাতে ক্রেতা সমস্তরকম তথ্য যাচাই করে তারপরই যেন বিল্ডারের সঙ্গে বাড়ি বা প্লট কেনার জন্য চুক্তি করেন ৷