সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যবসা শুরু করার আগে একটা দ্বন্দ্ব কাজ করেই থাকে। একটি চায়ের দোকান শুরু করতে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে, বা তার থেকে কত টাকাই বা রোজগার করা যায় মাসে! এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকতেই পারে। কিন্তু রাজস্থানের বাড়মের জেলার দুই ভাই দেখিয়ে দিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে চায়ের দোকান থেকেও কীভাবে ভাল রোজগার করা যায়।
advertisement
বাড়মেরের ছোট্ট একটি গ্রাম ভুর্তিয়া। এখান থেকে শুরু হয়েছিল ওম আর তাঁর ভাই নরেন্দ্রর যাত্রা। ওম-নরেন্দ্রর বাবা ছিলেন সামান্য ইলেকট্রিশিয়ান। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারেও লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছেন দুই ভাই। দু’জনেই পড়াশোনা করেছেন স্নাতকস্তর পর্যন্ত। তারপর বড় ভাই ওমপ্রকাশ একদিন চাকরি পেলেন। পাড়ি দিলেন আফ্রিকার কঙ্গোতে। বেতন মাসে এক লক্ষ টাকা। টানাটানির সংসারে প্রাথমিক ভাবে সে অনেক টাকা বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু ছ’বছর বিদেশে পরিশ্রম করে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন ওম। বাড়ি ফেরার আকাঙ্ক্ষা তাঁকে তাড়া করছিল।
তখনই নিজের শহরে স্টার্টআপ খোলার কথা ভাবেন তিনি। কথা বলেন ভাইয়ের সঙ্গে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিটি সেন্টারে এবং বাড়মের জেলা সদরে চামুন্ডা স্কোয়ারে 'ওম-না এনআরআই চাইওয়ালা'-এর দু’টি আউটলেট খুলে ফেলেন দুই ভাই। দু’টি দোকানেই ভিড় উপচে পড়ে। দুই ভাই আলাদা আলাদা করে দেখেন দু’টি দোকান। নিজেদের রোজগার তো বটেই, এই মুহূর্তে তাঁরা আটজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পেরেছেন বলে দাবি। এখন দু’জনেই তাঁদের চায়ের দোকানের ফ্র্যাঞ্চাইজিও দিচ্ছেন।
ওমপ্রকাশ বলেন, ‘ছ’বছর আফ্রিকার কঙ্গোয় সেলসম্যান হিসাবে কাজ করেছি। কিছু দিন আগে বাড়ি ফিরে বাড়মেরে কিছু স্টার্টআপ করার কথা ভাবলাম। তখনই চায়ের দোকানের কথা মাথায় এল। আমার আর ভাইয়ের নামের প্রথম দুই অক্ষর দিয়ে শুরু করে দিলাম OMNA NRI।’