বাড়ির বড়দের দেখে বাড়িতেই লাগাত ফুল, ফলের গাছ। গাছ লাগানোর সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে পেশাতে। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এক কলেজ পড়ুয়া। বাড়িতেই প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুব প্রজন্মকে দিচ্ছে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি তার নেশা থেকেই বাড়িতেই একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করেছে সে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজগারের নতুন দিশা! পুকুর থাকলেই মিলছে বিনামূল্যে মাছ! দুর্দান্ত পদক্ষেপ প্রশাসনের
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা উঁচুডিহা। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকে স্নাতক পাশ এক যুবক বাড়িতেই নিতান্তই শখের বসে শুরু করে গাছ লাগানো। ছোট থেকেই নেশা থাকায় এক এক করে বাড়িতেই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ফুল, ফলের পাশাপাশি তার নেশা জাগে ইনডোর প্লান্ট লাগানোর। সেই মত একাধিক প্রজাতি থেকে বর্তমানে তার কাছে প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ছোট থেকে নেশা থাকায় এক এক করে তিনি থাইল্যান্ড, ইকুইজেনেরিয়া সহ গ্রামীণ বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি এক একটি গাছ সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিচর্যায় বড় করে তুলেছেন ইনডোর প্লান্ট ফার্ম। বর্তমানে তা বিক্রি করে মাসিক প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত তিনি রোজগার করছেন। বাড়িতে পড়াশোনার পরে চলে তার গাছ পরিচর্যার কাজ। স্বাভাবিকভাবে বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার যুবক বছর ২৭ এর সৌগত নন্দ। ২০১৯ সালে তিনি ভূগোলের স্নাতক পাশ করেছেন। ২০২১ এ করেছেন বি.এড কোর্স। এরপর তিনি এক বছর লাইব্রেরি সাইন্সে ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বাড়িতে সামান্য জায়গায় ফার্ম হাউস করে চাষ প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইনে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।
ফার্ন, অ্যাডেনিয়াম, হোয়া, অ্যানফরিয়াম, ক্যাকটাস প্রজাতি, অক্সালিস, অ্যালোকেসিয়া, মনস্টার অ্যালবো সহ একাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে তার কাছে। দাম ৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি কাশ্মীর, আন্দামান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। সামান্য পরিচর্যায় এই গাছের যত্ন নেওয়া সম্ভব।কলেজ পড়ুয়া এই যুবকের স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ ভাবনা চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। আগামীতে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবসাকে বাড়াতে চান তিনি।
রঞ্জন চন্দ