অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে, ইনফ্রা এবং পরিবেশ সম্পর্কিত অনেক স্টেকহোল্ডারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এবং ভাগবত কারাদও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বৈঠকে অর্থসচিব টিভি সোমানাথন, অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের একাধিক সচিব, দীপম সচিব এবং মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বল্প মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করেই বিনিয়োগকারীরা পেয়ে যাবেন মোটা টাকা রিটার্ন!
advertisement
গত বাজেটেও সরকার অবকাঠামো খাতে বেশি জোর দিয়েছিল। মোদি সরকারের দাবি, ইনফ্রা সেক্টরের শক্তি বৃদ্ধির ফলে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। সরকার অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে তহবিল দেওয়ার জন্য একটি নগদীকরণ প্রকল্পও চালু করেছে। এ খাতকে গতিশীল করতে শিল্পপতি ও অবকাঠামো খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবারও একটি প্রাক-বাজেট বৈঠক করবেন। জানা গিয়েছে, সেখানে বর্তমান কৃষি এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। এই বৈঠকে অর্থ মন্ত্রক ও আর্থিক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেবেন। পরিষেবা খাত ও শিল্প সমিতির সঙ্গেও বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী। আগামী ২৪ নভেম্বর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জল ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সংশ্লীষ্ট ব্যক্তিদের ডাকা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির এটিএম থেকে টাকা তোলার সীমা এবং চার্জ কত? জেনে নিন
২৮ নভেম্বর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের বাজেট সম্পর্কে সমস্ত স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে। এই পরামর্শগুলি পর্যালোচনা করার পরে, সেগুলি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা সাধারণ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই হবে মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তার আগে সরকারের সামনে মূল্য বৃ্দ্ধি, প্রবৃদ্ধির হার, কর্মসংস্থানের মতো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি হবে মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট, এর পরে পরবর্তী নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।