মুদ্রানীতি কমিটি সর্বসম্মতিতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। মনিটরি পলিসি কমিটিও ‘উইথড্রয়াল অফ অ্যাকোমোডেশন’-এর উপরেই ফোকাস করে। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘ভারত আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং মৌলিক বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছে। বিশ্বের জন্য নতুন ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ হতে আমরা প্রস্তুত’।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের GPF-এ সুদের হার কত করা হয়েছে? এতে আপনার কী লাভ হবে ?
advertisement
তবে জিনিসপত্রের দাম চোখ রাঙাচ্ছে। নাজেহাল মধ্যবিত্ত। এদিন গভর্নরের বক্তব্যে এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। শক্তিকান্তর কথায়, ‘মুদ্রাস্ফীতিই আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি’। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কারণ ব্যাখ্য করে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারা পরিচালিত ২৫০ বেসিস পয়েন্ট হার বৃদ্ধির ট্রান্সমিশন এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে’।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমের বিষয়ে জানেন ? এখানে টাকা রাখলে সুদ পাবেন ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি
২০২৪ অর্থবর্ষে ৬.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আসন্ন চার প্রান্তিকে ‘অগাস্ট পলিসি’ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা এবং অসম বর্ষাকে এই বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হতে পারে বলে মনে করছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ২০২৪ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে বলেও অনুমান করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ৫.২ শতাংশ হবে।
২০২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ৬.২ শতাংশ থেকে ৬.৪ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আগের বছরের ৫.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৬ শতাংশ করা হয়েছে। গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের কথায়, ‘ঝুঁকিতে ভারসাম্য বজায় থাকবে’। প্রসঙ্গত, মুদ্রানীতি কমিটির এই সভার কার্যবিবরণী ২০২৩-এর ২০ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। পরবর্তী এমপিসি বৈঠক ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।