সুবিধাটা কী? কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকলে সহজে এবং সস্তায় ঋণ পাবেন কৃষকরা। সার, বীজ কেনার জন্য আর উচ্চ হারে ঋণ নিতে হবে না। শুধু কিষাণ ক্রেডিট থাকলেই এই সুবিধে মিলবে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই কৃষকদের জন বাম্পার খবর! ১০ দিন পরেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে আসছে টাকা
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কী: কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় সরকার কৃষকদের খুব কম হারে ঋণ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগী কৃষক ছাড়াও, শুধুমাত্র যোগ্য কৃষকরাই এর সুবিধা পাবেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে, কৃষক তাঁর ফসল সম্পর্কিত খরচও তুলে নিতে পারেন। বীজ, সার, মেশিন ইত্যাদির জন্য অর্থ বিনিয়োগও করা যায়।
কত টাকা ঋণ পাওয়া যায়: কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। এই স্কিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ঋণের অধীনে ১.৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মেলে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই। কৃষকরা এই স্কিমে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। এছাড়াও সুদের হারে সরকার থেকে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাজারে ৯ শতাংশ হারে সুদ চললে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণে কৃষক ৭ শতাংশ হারে সুদ দেবেন।
আরও পড়ুন: এই সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটে ৭.৫% মেগা সুদ, প্রবীণ নাগরিকদেরও বড় সুবিধা
আবেদন করতে হয় কীভাবে: কোনও কৃষক যদি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগী হন, তাহলে যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়ে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ জন্য ব্যাঙ্কে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও জমা দিতে হবে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে লাগবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ফর্ম পূরণ করার পর ব্যাঙ্ক নথি যাচাই করবে। তারপর ঋণ মিলবে।