পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণও নেওয়া যায়। নিয়ম অনুসারে অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছরের মধ্যে ঋণ পাওয়া যায়। এই ঋণ ৩৬ মাসের মধ্যে শোধ দিতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সাত বছর থেকে সঞ্চিত অর্থের কিছুটা অংশ তুলে নেওয়া যায়। তবে ঋণ আর মিলবে না। প্রাণঘাতী অসুখের চিকিৎসা বা উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট খোলার পাঁচ বছর পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে টাকা তুলে নেওয়া যায়। তাছাড়া অর্জিত সুদের উপরে কোনও কর বসে না। পিপিএফ অ্যাকাউন্টের সুদের হার প্রতি ত্রৈমাসিকে পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাউজিং সেক্টরে মুনাফার সুযোগ, নয়া মিউচুয়াল ফান্ড আনল আইসিআইসিআই!
৮০সি ধারায় আয়করদাতা নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় মেলে। এ রকমই একটি প্রকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। অ্যাকাউন্টে বছরে জমা করা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় ছাড় পাওয়া যায়।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের মেয়াদ ১৫ বছর। তারপর বিনিয়োগকারী টাকা তুলে নিতে পারেন অথবা আরও ৫ বছরের জন্য এর মেয়াদ বাড়াতে পারেন। যদি মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকে তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে যেখানে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট আছে সেখানে এক্সটেনশনের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। তাহলেই ২০ বছরের জন্য পিপিএফে টাকা জমা করার সুবিধা মিলবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবারের তুমুল খবর! দেশজুড়ে সোনার দামে পতন, কলকাতায় আরও সস্তা মধ্যবিত্তের প্রিয় ধাতু
অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না দিয়েও মেয়াদ বাড়ানো যায়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি বিনিয়োগকারী কোনও পদক্ষেপ না নেন অর্থাৎ যদি অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো না হয় বা টাকাও না তোলা হয় তাহলে আপনা থেকেই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী আর টাকা জমা করতে পারবেন না। শুধু জমা টাকার উপর সুদ পাওয়া যাবে।
এই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট সহজেই এক ব্যাঙ্কের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। একই ভাবে কোনও ডাকঘর থেকে ব্যাঙ্কে বা ব্যাঙ্ক থেকে ডাকঘরে সরানো যায়। এই অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য গ্রাহককে কোনও অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না।
