এই চিঠিকে ভুয়ো বলে জানিয়েছে পিআইবি। এই নিয়ে একটি ট্যুইট করে তারা। সেখানে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়, ‘অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে এ ধরনের কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি’। লক্ষ্যণীয় ঠিক পুজোর মুখে হঠাৎ করেই এই চিঠিকে ভাইরাল করা হয়।
আরও পড়ুন: পিপিএফ, ইপিএফ কিংবা পোস্ট অফিসে জমানো টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না তুললে কী হবে
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চিঠিকে অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশিকা বলে প্রচার করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বরের ‘ইস্যু’ হওয়া ওই চিঠিতে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৮ শতাংশ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে এও দাবি করা হয়, ২০২২-এর ১ জুলাই থেকে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। খুশিতে মেতে ওঠেন সরকারি কর্মচারীরা।
তাহলে ডিএ কবে বাড়বে: এই চিঠিটা যে ভুয়ো তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এ কথা জানিয়েছে পিআইবি-ও। বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই এই চিঠি ভাইরাল করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল মহার্ঘ্য ভাতা কি আদৌ বাড়বে? এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে?
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর আপনার PAN, আধার, পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ডের কী হবে ?
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, নবরাত্রিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়তে পারে। তবে এই বৃদ্ধি মাত্র ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির অনুমান অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স - ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স এর তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। সম্প্রতি এর প্রথমার্ধের রিপোর্ট এসেছে। সেখান থেকেই এমন অনুমান। এর পরিসংখ্যান ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি এখন ১২৯.২ স্তরে রয়েছে। এই কারণেই আশা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার উৎসবের মরশুমে মহার্ঘ্য ভাতা বাড়াতে পারে। অনুমান সত্যি হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি পেনশনভোগীরাও উপকৃত হবেন।