কিন্তু এই ঘোষণার পরই হইহই শুরু হয়ে গিয়েছে আবার। সারা দেশের মানুষ তাঁদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট খরচ করে ফেলতে চাইছেন। তাই অনেক এলাকাতেই কেনাকাটা বেড়ে গিয়েছে।
যদিও সরকারি ভাবে নাগরিকদের আশ্বস্ত করে জানান হয়েছে যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত দু’হাজার টাকার নোট বদলে দেওয়া হবে। সবই হবে নিয়ম-কানুন মেনে। সাধারণ জনগণকে কোনই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
advertisement
কিন্তু যদি উত্তরপ্রদেশের আমেঠির দিকে তাকানো যায়, তাহলেই ধরা পড়বে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির ছবিটা। গোটা রাজ্যের সঙ্গেই এই এলাকার মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যয় করে ফেলতে। গত কয়েকদিনে বাজারগুলিতে এক লাফে বেড়ে গিয়েছে কেনাকাটা। এমনকী দৈনন্দিন কেনাকাটা করার জন্যও মানুষ হাতে নিয়ে আসছেন দু’হাজার টাকার নোট।
তবে সব থেকে বেশি কেনাকাটা চলছে ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান, খাবারের দোকান, গয়না ও জামা-কাপড়ের দোকানে। এর বাইরে ভিড় হচ্ছে পেট্রোল পাম্পগুলিতে। সেখানে পেট্রোল ভরাতে সকলেই প্রায় পকেট থেকে বের করছেন ২০০০ টাকার নোট।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী বেদ প্রকাশ জানান, ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা হওয়ার পর থেকে দোকানে বিক্রি বেড়েছে। যে কোনও উপায় ক্রেতারা চাইছেন ২০০০ টাকার নোট খরচ করতে। পাশাপাশি বস্ত্র ব্যবসায়ী রসুল বক্স রাইন বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ২০০০ টাকার নোটগুলি খরচ না করলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে। তাই তাঁরা অনেক কিছুই কেনাকাটা করছেন।’
আরও পড়ুন: ‘এই’ চাষেই হবেন মালামাল! কীভাবে চাষ করলে কম খরচে হবে প্রচুর লাভ জেনে নিন
উদ্বেগের কারণ নেই—
যদিও এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নোট বৈধ থাকবে। আমেঠির জেলাশাসক বিমল গুপ্ত বলেন, ‘আমরা বাজারগুলিতে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি, ব্যবসায়ী হন বা সাধারণ মানুষ, সবাইকে ২ হাজার টাকার নোট গ্রহণ করতে হবে। পরে তা ব্যাঙ্কে জমা করে দিলেই হবে।’
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ব্যাঙ্কের শাখায় নোট বদল করা যাবে। সেক্ষেত্রে এক দিনে ১০টি নোট বদলানো যাবে। পাবলিক কনভিনিয়েন্স সেন্টারে একদিনে দু’টি নোট বদলানো যাবে।