ফর্মুলা:
পেনশন= পেনশনযোগ্য বেতন (গত ৬০ মাসের বেতনের গড়) X বছর (জমাকৃত বছরের অবদানের সংখ্যা)/ ৭০। যাঁরা ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪-এর আগে অবসর নিয়েছেন, তাঁদের পেনশন অবসর গ্রহণের ১২ মাসের আগে গড় বেতনের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হবে।
হায়ার পেনশন স্কিম কী:
advertisement
ধরা যাক, এক জন কর্মচারীর মূল বেতন ১ লক্ষ টাকা। সুতরাং এই এক লক্ষের ১২ শতাংশ অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা কর্মচারীর ইপিএফ অবদান। নিয়োগকর্তাও এই সমান পরিমাণ অর্থ ইপিএফ এবং ইপিএস-এ জমা করে। নিয়ম অনুযায়ী, নিয়োগকর্তা মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএসে এবং বাকিটা ইপিএফে জমা করবে।
২০১৪ সালে নতুন নিয়ম করা হয়। বলা হয়, ১৫ হাজার টাকার বেশি বেসিক বেতন ইপিএসের যোগ্য নয়। অর্থাৎ, ১৫০০০ টাকা বেতন পর্যন্ত মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১২৫০ টাকা প্রতি মাসে ইপিএস-এ জমা করা যাবে। এর বাইরে সমস্ত টাকা যাবে ইপিএফ-এ। অর্থাৎ, এক লক্ষ মূল বেতনের ইপিএস অবদান ৮,৩৩০ টাকা হয়ে গেলেও, নিয়োগকর্তা ইপিএস-এ মাত্র ১২৫০ টাকা জমা দেবে এবং বাকি টাকা ইপিএফ-এ জমা হবে।
যাইহোক, যাঁরা ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ এবং তার আগে থেকে ইপিএফও-তে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের ছয় মাসের মধ্যে উচ্চ বেতনে ইপিএস অবদানের জন্য আবেদন করার বিকল্প ছিল। অনেক কর্মী আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ইপিএফও এই ধরনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনেক কর্মচারী আদালতে যান। ২০২২ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ ১৫০০০ পেনশনযোগ্য বেতনের নিয়মকে সঠিক বলে মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত বলে, যে কর্মচারীরা ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ এবং তার আগে ইপিএফও-এর সদস্য হয়েছেন এবং তাঁদের নিয়োগকর্তারা ইপিএফও-তে যৌথ আবেদন করে উচ্চ পেনশন স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘২ বছর সময় দিন, তারপর..’ ভোটের আগেই বড় প্রতিশ্রুতি মমতার
হায়ার পেনশন প্রকল্পের অধীনে, এক জন কর্মচারীর মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ তাঁর নিয়োগকর্তা ইপিএস অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। অর্থাৎ, যদি এক জন কর্মচারী হায়ার পেনশন স্কিম বেছে নেন, তাহলে তাঁর মূল বেতন এক লাখ হলে, মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ অর্থাৎ ৮৩৩০ টাকা ইপিএস-এ জমা হবে। বাকি ৩.৭ শতাংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে। যাঁরা ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পরে ইপিএফও-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না।
আবেদন:
ইপিএফও পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে। দিতে হবে প্রয়োজনীয় নথিপত্র। এর আগে আবেদনের শেষ দিন ছিল গত ৩ মে, ২০২৩ তারিখ। যা বাড়িয়ে ২৬ জুন করা হয়েছে।