রফতানির খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বাজারে গত তিনদিন ধরে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। যার ফলে নাসিকের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের সেই একই হাল,৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে।
কলকাতার পেঁয়াজের পাইকারি বাজারগুলিতে ঘুরে দেখা গেল,নাসিক কিংবা দক্ষিণ ভারতের পেঁয়াজ প্রায় নেই বললেই চলে। আড়তদারদের গুদাম গুলো ফাঁকা।ব্যবসায়ীদের দাবি, গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে পেঁয়াজ রফতানির খবর বেরোনোর পর থেকেই,পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু করেছে।খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, পেঁয়াজের দাম একটু বেশি হলেও, নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি করতে তাদের সুবিধা হয়।কারণ নাসিকের পেঁয়াজের গুণমান ভাল। ফলে ক্রেতাদেরও সহজে পছন্দ হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: খাওয়ার কতক্ষণ পরে ওষুধ খাওয়া উচিত? সঠিক নিয়ম না জানলে জোড়া ক্ষতি
নিউজ এজেন্সি পিটিআইকে কেন্দ্রীয় সরকারের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি রোহিত কুমার সিং জানিয়েছেন যে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহ হবে।পশ্চিমবঙ্গের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে এই মুহূর্তে আশঙ্কায় রয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।এই বিষয় নিয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, ‘এবছর পশ্চিমবাংলায় পেঁয়াজের ফলন খুব ভাল হয়েছে।আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে নদিয়া থেকে প্রচুর পেঁয়াজ বাজারে ঢুকে পড়বে।এখন বাংলা পেঁয়াজ পাইকারি ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এই পেঁয়াজ জুন,জুলাই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবাংলার বাজারে চাহিদা মেটাবে।’
ব্যবসায়ীদের মতে, নাসিকের পেঁয়াজের দাম বেশি হলে, স্বাভাবিকভাবেই বাংলার পেঁয়াজের দাম বেশ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাংলার পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে।এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নদিয়ার পেঁয়াজের সঙ্গে নাসিকের পেঁয়াজ মিশিয়ে বেশি দাম নেওয়ার চেষ্টা করবে। সব মিলিয়ে ফের একবার পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ বাড়ার আশঙ্কা৷