একদশকেরও বেশি সময়ের মনোমালিন্যের ছবিটা এবার হয়তো কিছুটা হলেও বদলাতে চলেছে ৷ ব্যবসায় সঙ্কট মেটাতে দাদার হাতই ধরতে এবার বাধ্য হলেন ভাই ৷ বৃহস্পতিবার মুকেশ অাম্বানির টেলিকম সংস্থা রিল্যায়েন্স জিও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনিল আম্বানির রিল্যায়েন্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) মোবাইল পরিষেবা ব্যবসার সম্পত্তি কিনছে তারা।
রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর দুই ছেলের মধ্যে সংস্থা ভাগাভাগি করে দেওয়া হয় মা কোকিলাবেনের মধ্যস্থতায় ৷ সেখানে সংস্থার টেলিকম ব্যবসা যায় অনিল আম্বানির দখলেই ৷ ২০০২ সালে তৈরি হওয়া রিল্যায়েন্স ইনফোকম সংস্থার মালিকানা পান অনিল ৷ নাম পাল্টে হয় রিল্যায়েন্স কমিউনিকেশন্স বা ‘আর-কম’ ৷ কিন্তু দাদা মুকেশ আম্বানিও চুপচাপ বসে থাকেননি ৷ ২০১০ সালে ইনফোটেল ব্রডব্র্যান্ডকে কিনে নিয়ে তিনিও প্রবেশ করেন দেশের টেলিকম ব্যবসায় ৷ নিজের সংস্থার নাম দেন ‘রিল্যায়েন্স জিও ইনফোকম’ ৷ এর ছ’বছর পর ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষেবা চালু হয় জিও-র ৷ এবছরই ২জি-৩জি পরিষেবা বন্ধ হয় আর কমের ৷ শেষ পর্যন্ত বাবার জন্মদিনের দিনই ভাইয়ের আর-কম মোবাইল ব্যবসার সম্পদ কিনতে চুক্তি জিও-র ৷ এর ফলে জিও-র হাতে এল রিল্যায়েন্স কমিউনিকেশন্সের ৪৩ হাজার মোবাইল টাওয়ার ৷ ১২২.৪ মেগাহার্ৎজ ৪জি স্পেকট্রাম (৮০০/৯০০/১,৮০০/ ২,১০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের) সারা দেশে ১.৭৮ লক্ষ কিমি অপটিক ফাইবার কেব্ল ৷ ২৪৮ মিডিয়া কনভার্জেন্স নোডস (৫০ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে তৈরি টেলি পরিকাঠামো ) ৷
advertisement