উত্তরাখণ্ডের গোয়ালাপাড়ের দেবলাতল্লা গ্রামের অশ্বিনী মেহরা পাঁচ বছর আগে মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন, তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অশ্বিনীর কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হয়েছে এবং মাশরুম উৎপাদন করে তিনি আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়েছেন। এছাড়াও, এটি এখন গ্রামের অনেক পরিবারের কর্মসংস্থানের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সুতরাং যাঁরা এখনও মোটা টাকা উপার্জনের রাস্তা খুঁজে চলেছে, তাঁদের মাশরুম চাষ একটি নতুন পথ দেখাতে পারে। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: আরও কি বাড়বে সোনা-রুপোর দাম? জেনে নিন কত যাচ্ছে আজকের বাজারদর!
আরও পড়ুন: মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিশাল উপহার, পাবেন সরাসরি ১৫ হাজার টাকা
অশ্বিনী মেহরা শিবা স্কুল থেকে ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করার পর, কুমায়ুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করে। তিনি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশনে (ওএনজিসি) বার্ষিক ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্যাকেজে তিন বছর কাজ করেন। এই চাকরির পর তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সহকারী পদে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু, চাকরিতে আগ্রহী না হওয়ায়, অশ্বিনী ২০১৭ সালে পদত্যাগ করে নিজের শহরে ফিরে আসে। তিনি তাঁর মনের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেন যে, কৃষিকে কর্মসংস্থানের প্রধান মাধ্যম করে তুলবেন। এরপর তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে মাশরুম চাষ করা শুরু করেন। মাশরুম উৎপাদনে অশ্বিনী ক্রমাগত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন এবং একজন সফল মাশরুম চাষি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন উত্তরাখণ্ডে।
নিউজ ১৮ লোকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় অশ্বিনী জানান যে, প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ২০ টন মাশরুম উৎপাদিত হয়। শুধু হলদোয়ানি নয়, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর ও লখিমপুর খেরিতেও মাশরুমের চাহিদা রয়েছে। ১০ থেকে ১৫ জন কৃষক মাশরুম তৈরির জন্য একটি প্লান্টে একসঙ্গে কাজ করেন। এর ফলে গ্রামের অনেক যুবকদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।