অপটিক্যাল ফাইবারগুলোকে যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তৎপর সরকার। তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পরে টেলিকম কোম্পানি, আইএসপি, টাওয়ার কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমবে। এর আওতায় অন্য কোনও টেলিকম কোম্পানি বা পুরসভাকে গর্ত খননের আগে টেলিকম কোম্পানির কাছে আবেদন জানাতে হবে।
advertisement
অ্যাপের মাধ্যমেই করা যাবে আবেদন:
এর জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘কল বিফোর ডিগ’ অ্যাপ। টেলিকম সংস্থা বা পুরসভা গর্ত খননের আগে ‘কল বিফোর ডিগ’ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। জানা গিয়েছে যে, এর জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১ মাস আগে নোটিস দিতে হবে। পাশাপাশি অপটিক্যাল ফাইবার কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়া গেলে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Fact Check: নোটের উপরে কিছু লিখলে সেটা কি আর বাজারে চলবে না? সরকারের পক্ষ থেকে যা জানানো হল
আবেদন করার সময়, নাম, ঠিকানা, সংস্থার বিবরণ, যোগাযোগের যাবতীয় নথি এবং কোম্পানির তারিখ ও সময় সম্পর্কে তথ্যও দিতে হবে। কাজ শুরু করার এক মাস আগেই এই বিবরণ পাঠিয়ে দিতে হবে টেলিকম সংস্থার দফতরে।
গ্রাহকদের সমস্যা দূর হবে:
নতুন আইনে গর্ত খননের সময় তার কেটে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। টেলিকম কোম্পানি সেই অপটিক্যাল ফাইবার পুনরায় বসানোর জন্য অন্য পক্ষের কাছ থেকে চার্জ আদায় করতে পারবেন। এর ফলে কেবল কাটার ঘটনা যেমন কমবে, তেমনই গ্রাহকদের সমস্যাও দূর হবে।
প্রসঙ্গত, অপটিক্যাল ফাইবার হল পাতলা কাচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি তার। এর মাধ্যমে লেজার এবং আলো ব্যবহার করে ডেটা স্থানান্তর করা হয়। আলো যখন নির্দিষ্ট কোন থেকে প্রতিফলিত হয়, তখন এটা সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন প্রতিফলন নীতি মেনে কাজ করে। অপটিক্যাল ফাইবার তারে বিদ্যুতের পরিবর্তে আলো এবং লেজার প্রেরণ করা হয়। লেজার ও আলো ব্যবহারের ফলে দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। নিরাপত্তার জন্য এই তারের বাইরে প্লাস্টিক, ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সের মতো ৮ ধরনের লেয়ার বসানো হয়েছে। অন্যান্য তারের তুলনায় অপটিক্যাল ফাইবার তারের দাম অনেক। তাই গর্ত খুঁড়তে গিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে টেলিকম সংস্থাগুলোকে যেমন লোকসান পোহাতে হয়, তেমনই গ্রাহকদেরও সমস্যা দেখা দেয়। এর হাত থেকে বাঁচতেই টেলিগ্রাফ আইনে বদল আনল সরকার।