ইউএসআইএসপিএফ প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ড. মুকেশ আঘি এক্স-এ নিজের বিবৃতিতে বলেন, “বহু ভারতবাসীর জীবন সমৃদ্ধ করতে নীতা এম আম্বানির যে অক্লান্ত প্রয়াস, তার জন্য তাঁকে পুরস্কারে ভূষিত করতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। নীতা আম্বানি হলেন এমন একজন, যিনি বিশ্বাস করেন যে, কাজ এখনও শেষ হয়নি। বরং আরও অনেক কিছু করা বাকি…” ৷
advertisement
ড. মুকেশ আঘি ওই বিবৃতিতে আরও জানালেন যে, “গোটা বিশ্ব জুড়ে কঠিন শক্তির সময়ে তিনি আমাদের শক্তির কোমল দিকের নাগাল এবং প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছেন। বিশেষ করে ভারতের সমৃদ্ধ শিল্পকলার সংরক্ষণ এবং প্রচারের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে তিনি আরও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খেলাধূলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
ভারতে মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে নীতা আম্বানি একজন চ্যাম্পিয়ন। সেই সঙ্গে তিনি দেশের সবথেকে বড় জনহিতৈষী ফাউন্ডেশন, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। খেলাধূলা থেকে শুরু করে শিল্পকলা পর্যন্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
ওই ফাউন্ডেশন ৭ কোটি মানুষকে সাহায্য করেছে। নারীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, ডিজিটাল সাক্ষরতার উন্নতি এবং কর্মসংস্থানের উন্নতির জন্য দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষিত করার উপর ব্যাপক ভাবে মনোনিবেশ করে ওই ফাউন্ডেশন। ফার্ম এবং নন-ফার্ম চাকরির ক্ষেত্রে মহিলারা যাতে পরবর্তী তিন বছরে ন্যূনতম ১২০০ ডলার বার্ষিক বেতন পান, তা নিশ্চিত করার জন্য গত অগাস্ট মাসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
এখানেই শেষ নয়, ২০২১ সালে নীতা আম্বানি ‘হার সার্কল’ নামে একটি ডিজিটাল অ্যাপ এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে লাইফস্টাইল ট্রেন্ড থেকে শুরু করে মহিলাদের স্বাস্থ্য পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল মহিলাদের চেহারা এবং আকারের বৈচিত্র্যের প্রচার। এছাড়া পাঁচ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ানসের সহ-মালিকও নীতা আম্বানি। আর তিনি নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতাও বটে!